• শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজার শহরের “ফুলবাগ ইয়ং সোসাইটির ” উদ্বেগে ফুলবাগবাসীর মিলনমেলা অনুষ্ঠিতটেকনাফে পাহাড় হতে অপহৃত ১৫ ভিকটিম উদ্ধার ; দূবৃর্ত্ত চক্রের দুই সহোদর আটকসাবেক জেলা প্রশাসক, জেলা জজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাঈদগাঁওতে হচ্ছে না বস্ত্র মেলা আলেম ওলামাদের কথা রাখলেন লুৎফুর রহমান কাজলশহরে লাইট হাউস পাড়া অলিম্পিক বার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্ভোধনটেকনাফে পাহাড় হতে অপহৃত ১৫ ভিকটিম উদ্ধার ; দূবৃর্ত্ত চক্রের দুই সহোদর আটকসৌদি আরবে গিয়ে যে ১৫ কাজ করা যাবে নাদুই রোহিঙ্গা নারী কক্সবাজারে পাসপোর্ট করতে এসে ধরা পড়লোকক্সবাজার সৈকত থেকে অবৈধ ৫০ স্থাপনা উচ্ছেদরামাদা জসিম উদ্দিন কে গ্রেফতারের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ

মাদক ব্যবসার পেছনে কী শুধুমাত্র উখিয়া টেকনাফের মানুষ দায়ী?

মোহাম্মদ রাশেল
আপডেট : রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩


সর্বদক্ষিণের জেলা কক্সবাজারের শান্তিপূর্ণ এলাকা ছিলো উখিয়া টেকনাফ। ছিলো সমৃদ্ধ ইতিহাস। মাদক ইয়াবার কড়াল থাবায় বহু সমালোচনার জন্ম দেয় এই এলাকা নিয়ে। স্থানীয় সাধারন শান্তি প্রিয় এই মানুষগুলো সমালোচিত হতে শুরু হয় আস্তে আস্তে। সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা উখিয়া টেকনাফের মানুষগুলো বিভিন্নভাবে হেনস্থার শিকার হতে থাকে। পরিচয় দিতেই যেনো চোখ বাঁকা করে দেখা হয়। আসলেই কী উখিয়া টেকনাফের মানেই মাদক ব্যবসায়ী?

বাংলাদেশে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন আর গাঁজার বাইরেও অন্তত ২০ ধরনের মাদক সেবন করে মাদকসেবীরা। তবে সংখ্যায় এত হলেও আসলে বাংলাদেশের মাদকসেবীরা সেবন করে ৬ থেকে ১০ ধরনের মাদক৷ সবচেয়ে ভয়াবহতা ইয়াবাকে ঘিরে৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অফিস-আদালত সবখানেই মিলছে ইয়াবা৷ মিয়ানমারের সঙ্গে মাত্র ২৭১ কিলোমিটারের সীমান্তের সবচেয়ে সক্রিয় মাদক রুটগুলো গোটা দেশের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কারণ, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ঢুকছে কোটি-কোটি পিস ইয়াবা৷ ইয়াবার অবাধ প্রবেশে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দেশে৷ বেশির ভাগ ইয়াবা তৈরি হয় মিয়ানমার-চীন সীমান্তের শান এবং কাচিন প্রদেশে৷ মিয়ানমারের সাবাইগন, তমব্রু, মুয়াংডুর মতো ১৫টি পয়েন্ট দিয়ে টেকনাফের সেন্টমার্টিন, শাহপরীর দ্বীপ, ধুমধুমিয়া, কক্সবাজার হাইওয়ে, উখিয়া, কাটাপাহাড়, বালুখালি, বান্দরবানের গুনদুম, নাইখ্যংছড়ি, দমদমিয়া, জেলেপাড়ার মতো অর্ধশত স্পট দিয়ে ইয়াবা ঢুকছে বাংলাদেশে৷
আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানের রুট ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’ (মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-লাওস) এবং ‘গোল্ডেন ক্রিসেন্ট’ (পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরান)-এর একেবারে কেন্দ্রে বাংলাদেশ৷
যুগান্তরের একটি নিউজ দেখলে তা স্পষ্ট হয়ে উঠে যার শিরোনাম ছিলো এমন যে “ভারত সীমান্ত পথে আসা মাদকের তালিকায় নতুন সংযোজন ইয়াবা” ভারত মহাসাগর থেকে শুরু করে বঙ্গ উপ সাগর সবখানে মাদকের অসংখ্য চালান জব্দ করার খবর প্রকাশিত হয়। তার মানে এটা প্রমানিত সত্য যে দেখে একটি এলাকা নয় প্রায় প্রতিটি এলাকা থেকে মাদক আমাদের দেশে প্রবেশ করে। তবে তুলনামূলক ভাবে ইয়াবা আসে উখিয়া টেকনাফের সীমান্ত রুট দিয়ে বেশির ভাগ।

তাহলে একবার চিন্তা করেন, শুধু মাত্র কি উখিয়া টেকনাফ দিয়ে মাদক আসে? উত্তর নিশ্চয় না বোধক হবে। কারণ উখিয়া টেকনাফ সহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলা দিয়ে গোপনে মাদকের চালান আসে। তাহলে শুধু মাত্র উখিয়া টেকনাফের মানুষেরা এই বদনাম বয়ে বেড়াবে? যেখানে ইন্ডিয়া থেকেও বড় বড় মাদকের চালান আসে সেখানে শুধু মাত্র একটা জেলার অল্প কিছু মানুষের কারণে সারা উখিয়া টেকনাফের মানুষকে মাদক সংশ্লিষ্ট বলে বেড়ানো মানসিকতা এখনই পালটানো উচিত বলে আমি মনে করি।

দেশের সিস্টেম মাদক ব্যবসাটাকে জিইয়ে রেখেছে, আর বদনাম বয়ে বেড়াই আমরা। হাজার হাজার আইনজীবী, প্রশাসন থেকে শুরু রাষ্ট্র মাদক সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত। নিশ্চিতভাবে বলতে পারি সারা দেশে মাদকের একটা বিরাট সিন্ডিকেট আছে যারা যোগসাজশে রাষ্ট্রের অর্গান গুলোকে নিজেদের হাতে নিয়ে ইচ্ছে মতো মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। শত শত আইন জীবীমাদক ব্যবসায়ীদের মোটা অংকের টাকায় আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যাচ্ছে, বিচারিক রায়ে সহজে জামিন পাইয়ে দিচ্ছে। রাষ্ট্র মাদক নিয়ন্ত্রণ কর‍তে পারে না এই কথা আমি কখনো বিশ্বাস করবো না।
লেখক,
মোহাম্মদ রাশেল,
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি, চিটাগাং ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস’ এসোসিয়েশন অব টেকনাফ


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন