• রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর
ফরিদুল মোস্তফার ৬ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই বিএমএসএফভুলন্ঠিত মানবতা বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে ৬ বছরেরও প্রত্যাহার হয়নি নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুলের ৬ মিথ্যা মামলা, পুলিশী ষড়যন্ত্রে আটকে আছে পাসপোর্টআমার বিরুদ্ধে করা নিউজ শত্রুদের সিন্ডিকেট প্রচারণা-প্রতিবাদ- ব্যাখ্যায় মনিরআওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধবিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধডিএইচ কে-কেএনএইচ-বিএমজেট প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর এসাইনমেন্ট অফিসারউখিয়া ও টেকনাফের গহীন পাহাড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান: বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারইয়ুথ চেইঞ্জ এজেন্টদের অংশগ্রহণে নাগরিক সাংবাদিকতা ও প্রচারণা প্রশিক্ষণ সম্পন্নউখিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশপ্রেমের ফাঁদে ফেলে আপত্তিকর দৃশ্য ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করেন জায়ান বাবু

মগনামায় আবু ছৈয়দকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে- র‍্যাব

নাজিম উদ্দিন:পেকুয়া
আপডেট : রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩


মোঃ নাজিম উদ্দিন (কুতুবী) পেকুয়া প্রতিনিধি,


কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আফজলিয়া পাড়া এলাকায় সংগঠিত চাঞ্চল্যকর আবু ছৈয়দ হত্যা মামলার প্রধান আসামী আলী আকবরের বাড়িতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ৭ অক্টোবর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন আসামীরা। পরিকল্পনার সময় ৮-১০ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হত্যার জন্য খোঁজ করতে থাকেন। আবু ছৈয়দের পেছনে লোক লাগিয়ে রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ অক্টোবর বিকালে আবু ছৈয়দ তার শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা অস্ত্র নিয়ে সেখানে হানা দেন। একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে আবু ছৈয়দকে জখম করে। প্রাণ বাঁচাতে আবু ছৈয়দ খাটের নিচে ঢুকে পড়লে সেখান থেকে বের করে কোপানো হয়। হত্যাকারীরা চলে যাওয়ার সময় আবু ছৈয়দের ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যান। হত্যায় ২৫ জনের একটি দল অংশ নেয়। তারা আবু ছৈয়দের পরিবারের আরো চার সদস্যকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে আবু ছৈয়দ হত্যা মামলার প্রধান পরিকল্পনাকারীসহ অন্যতম তিন আসামীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

গ্রেপ্তার তিন আসামিরা হলেন, পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আফজলিয়া পাড়ার নেজামুল ইসলাম মুজাহিদ, একই এলাকার আমিরুজ্জামান ও জামিল ইব্রাহিম ছোটন। নেজামুল ইসলাম মোজাহিদ পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াশিমের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন বলেও জানায় র‍্যাব।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে পেকুয়ার আফজলিয়া পাড়ায় আত্মগোপনে থাকা মামলার ২ নম্বর আসামি ও অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী নেজামুল ইসলাম মুজাহিদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক তিন আসামী হত্যাকাণ্ডের তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় কোন জনপ্রতিনিধি বা প্রভাবশালী কারোর সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। র‍্যাবের তদন্ত চলমান রয়েছে।

পেকুয়া থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ১১ অক্টোবর নিহতের ছেলে ছৈয়দ মোহাম্মদ ইমন বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিছয় ৪-৫ জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। গত শনিবার পর্যন্ত এ মামলার ১১ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব। আসামিদের আইনি ব্যবস্থা শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে মামলার বাদী ছৈয়দ মোহাম্মদ ইমন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম পরিকল্পিতভাবে আমার বাবাকে হত্যা করিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক প্রতিটি ব্যক্তি তার ঘনিষ্ঠ। প্রতিটি আসামী ওয়াসিমের লোক হিসেবে পরিচিত। সুষ্ঠু তদন্ত করলে ওয়াসিমের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যাবে। র‍্যাব ওয়াসিমের বাড়ি থেকে মামলার অন্যতম তিন আসামীকে আটকের পর আটকের স্থান নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। এতে আমি ও আমার পরিবার হতাশ হয়েছি। আমি আমার পিতা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। জড়িতদের ফাঁসি চাই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, আটক আসামীদের মধ্যে মোঃ আরকান হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের ধরতে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেলে হত্যাকাণ্ডে জড়িত কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন