• শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি কক্সবাজার জেলা শাখার ইফতার মাহফিল ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্নযুগ্ম সচিব হলেন কক্সবাজারের ডিসি মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনঢাকা থেকেই বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যু করবে অস্ট্রেলিয়াহাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণএপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন বেগম খালেদা জিয়ারাজনৈতিক হয়রানিমূলক ৬ হাজার ২০২টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশকারাহাসপাতাল এখন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অবকাশ কেন্দ্র, ক্যান্টিনে গলাকাটা বানিজ্যচট্টগ্রামের ভাষায় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে উচ্ছ্বসিত রোহিঙ্গারা ঘরে ফেরার স্বপ্নে বিভোরপ্রানঢাল অভিনন্দন ও শুভেচ্ছাপেকুয়ায় ব্যবসায়ীকে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

দুস্ত যখন গোসত খায়!

ফরিদুল মোস্তফা খানঃ
আপডেট : শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩


ফরিদুল মোস্তফা খানঃ


পাশে থাকা মানুষ সবসময় আপনার উপকারের জন্য থাকে না,কেউ কেউ সর্বস্ব লুটে নিতেও নানান বেশে পাশে থাকে।
যখন নিয়মিত মদ খেতাম ঠিক এই সময়ে, আমার তখনকার সুখ দুঃখের এক অতি চালাক সরকারি কর্মকর্তা (সংযত কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এক ঘনিষ্ঠ জনের সাথে কক্সবাজার শহরের তারকা মানের একটি হোটেলের কক্ষে বার থেকে পার্সেল এনে মদ খাওয়া শুরু করলাম।
নিজের জীবনের সবচেয়ে এক কাছের মানুষের দেওয়া আঘাত ভুলার ভুল ধারণা নিয়ে নেশার জগতে ঢুবে থাকার এই সময়ে আমার পকেটে ছিল চাঁদাবাজীর লাখ খানিক টাকা।
হাতে ছিল দামি মোবাইল, ছিল দামি ঘড়ি।
চোখে কালো গ্লাস।
একা একা ভাল লাগছেনা,তাই সহজ সরল মনে বন্ধুকে নিয়ে মদের জন্য ওই সময় বকসিস্ সহ বোতল আনার জন্য ৮ হাজার টাকা দিয়েছিলাম হোটেলটির বয়কে।
যথা সময়ে সে পানিয় জলের সাথে খাওয়ার জন্য নানান প্রকার ফল, চিকেন টিক্কা নিয়ে এসে হাজির।
দরজায় কড়া নাড়তেই খুলে দিয়ে অতি আনন্দে সব বুঝে নিয়ে প্রিয় বন্ধু যার সাথে সেদিন ছিল আমার জীবনের শেষ মদ খাওয়া।
সেই বন্ধুটি নেশার জগতে ঢুবে গিয়ে এক সময় হায়েনার মত আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে,প্রথমে মোবাইল,ঘড়ি চশমা,পকেটের সব টাকা কেড়ে নিয়ে ক্ষান্ত হননি,অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে আমাকে বলেছিল,এই খবর কাউকে বললে,স্বপরিবারে নির্মূল করে দেবে।
আমি শুধু সম্মানের কথা ভেবে বিষয়টি কাউকে বলিনি,আমৃত্যু বলবওনা।
কারণ অপরাধ ওনার নই,তাকে বিশ্বাস করাটাই ছিল আমার অপরাধ।।
তাই এই সব ভুলে গেলেও স্পষ্ট করে আমার এখনও মনে পড়ছে, সেই দুঃসময়ে পকেটে বাসায় ফিরার গাড়ি ভাড়া না থাকা মানুষটিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একঝাঁক চৌকস কর্মকর্তা ফোর্স,কক্সবাজার সৈকত থেকে গভীর রাতে বাসায় পৌছে দিয়ে আমাকে আরও বড় ধরণের কোন অঘটন থেকে আমার অসহায় স্ত্রী সন্তানদের উছিলায় রক্ষা করে সৃতির মনিকোটায় স্থান করে নিয়েছেন।
হে আল্লাহ, সেই সব মহা মানবগণ এখন যে যেইখানে যে অবস্থায় আছেন পরিবার পরিজনসহ চির প্রশান্তিতে নিমজ্জিত কর।
একই সাথে আমার সহজ সরল মনের বিশ্বাস ভঙ্গকারী বন্ধুটিকে তুমি আমার মত হেদায়ত করে সহানুভূতিশীল হও এবং দয়া কর।
অতপর এই সুন্দর পথে পরিচালিত কর।যেমন তুমি,আমি সহ আরো অনেককে করেছ।

লেখক:
নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান
সুস্থপ্রাপ্ত আসক্ত ব্যাক্তি,মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন