• শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজারে রামুর শীর্ষ ডাকাত শাহীন গ্রেফতার: সীমান্তে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের অবসানআশরাফ অর্জনে আলো ঝলমল এক পরিবার: ১৮তম NTRCA পরীক্ষায় “আরবি প্রভাষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তমহেশখালীতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবাঅবশেষে কক্সবাজার থানায় সংবাদকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় আদালতে মামলাঅফিস বন্ধের আগে প্রিপেইড মিটারে রির্চাজ করা ও জুনের মধ্যে বকেয়া বিল আদায়ের আহবান কক্সবাজার বিদ্যুৎ অফিসেরবাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক নাটক অনুষ্ঠিতযুবদের নিয়ে নাগরিক সাংবাদিকতা ও প্রচারণা বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্নঅপরাধ দমনে কক্সবাজারের শ্রেষ্ঠ ওসি ইমন কান্তি চৌধুরীফরিদুল মোস্তফার ৬ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই বিএমএসএফভুলন্ঠিত মানবতা বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে ৬ বছরেরও প্রত্যাহার হয়নি নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুলের ৬ মিথ্যা মামলা, পুলিশী ষড়যন্ত্রে আটকে আছে পাসপোর্ট

আরসা’র শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আরসা প্রধান আতাউল্লাহ র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার।

বানী ডেস্ক:
আপডেট : সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩


আরসা’র শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র একান্ত সহকারী এবং অর্থ সমন্বয়ক মোহাম্মদ এরশাদ @ নোমান চৌধুরীকে কক্সবাজার উখিয়ার কুতুপালং থেকে র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার

র‌্যাব বলেন,‘‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’’ এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গী দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদকসহ দেশে বিরাজমান বিভিন্ন অপরাধ নির্মূলে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে। র‌্যাব-১৫ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিরাজমান এ সকল অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে সব সময় অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৪ নভেম্বর ২০২২ তারিখে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন ঘুমধুম ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডের তুমব্রু বাজার সংলগ্ন কোনারপাড়া গ্রামের তুমব্রু মধ্যম পাড়া মসজিদের দক্ষিণ পাশে ইটের রাস্তা এলাকায় মায়ানমারের আরসা ও আল ইয়াকিন গ্রুপের বিচ্ছিন্নতাবাদী, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রধারী খুনি, লুটেরা, ধর্ষক, ডাকাত, মাদক চোরাকারবারী ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থা ও র‌্যাবের মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা মুহুর্মুহু গুলিবর্ষন ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি আক্রমণের ফলে অভিযানে থাকা রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার স্কোয়াড্রন লীডার জনাব রিজওয়ান রুশদী নৃশংসভাবে হত্যা এবং একই সাথে র‌্যাব সদস্য কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়া’কে গুরুতর আহত করা হয়। উক্ত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

র‌্যাব আরও বলেন,এই নৃশংস ঘটনা সংঘঠিত হওয়ার পর থেকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন নিবিড়ভাবে কাজ করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৫ কর্তৃক বর্ণিত ঘটনার সাথে জড়িত ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ (আরসা) এর শীর্ষ সন্ত্রাসী আসামী হাফেজ নুর মোহাম্মদ কে গত ২১ জুলাই ২০২৩ তারিখ এবং আসামী রহিমুল্লাহ প্রকাশ @ মুছা কে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে গ্রেফতার হয়। সম্প্রতি র‌্যাব-১৫ এর গোয়েন্দা নজরদারী, তৎপরতা ও অনুসন্ধানের একপর্যায়ে বিশ্বস্ত সূত্রে র‌্যাব জানতে পারে, উক্ত নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দীর্ঘদিন যাবত পলাতক এজাহারনামীয় আসামী নোমান চৌধুরী কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন কুতুপালং এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মোহাম্মদ এরশাদ @ নোমান চৌধুরী (২৭), পিতা-সাব্বির আহমেদ, মাতা-আনোয়ার বেগম, সাং-তুমব্রু কোনারপাড়া, জিরো লাইন, ০২নং ওয়ার্ড, ঘুমধুম ইউনিয়ন, থানা-নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা-বান্দরবান’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী গত ১৪ নভেম্বর ২০২২ তারিখে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং র‌্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযানের সময় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কক্সবাজার শাখার স্কোয়াড্রন লিডার জনাব রিজওয়ান রুশদি হত্যাকান্ড এবং র‌্যাবের কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়া গুরুতর আহতের হামলায় সরাসরি অংশগ্রহণ করে বলে অকপটে স্বীকার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী মোহাম্মদ এরশাদ @ নোমান চৌধুরী স্বীকার করে যে, আমেরিকা প্রবাসী পিতার মাধ্যমে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র সাথে তার পরিচয় হয়। আরসার হয়ে দীর্ঘদিন সক্রিয়ভাবে কাজ করার ফলস্বরূপ আতাউল্লাহ তাকে তার একান্ত সহকারী ও সার্বক্ষনিক অস্ত্রধারী বডিগার্ড হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল। এছাড়াও হুন্ডির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আরসার জন্য প্রেরিত অর্থের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে এবং প্রাপ্ত অর্থ আরসা’র বিভিন্ন ক্যাম্প কমান্ডারদের মাঝে পৌঁছে দেয় বলে সে স্বীকার করে। সে আরসা’র জন্য ইউনিফরমের কাপড়, ঔষধ সামগ্রী, ওয়াকিটকি, ল্যান্ড মাইন এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি কেনা-কাটা করে বলে জানায়। আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে কাজ করে বলে সে জানায়। ২০১৬ সালের ০৯ অক্টোবরে মায়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর মংডু অঞ্চলের সদর দপ্তরে হামলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে অস্ত্র লুট ও ১৪ জন জওয়ান হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে।

র‌্যাব জানাই,গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন