কক্সবাজার সদর থানার ঘুমগাছতলা এলাকায় অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে ২১ বোতল অবৈধ বিদেশী মদ উদ্ধারসহ দুইজন মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ, যানবাহনে বিশেষ কায়দায় মাদক পরিবহন ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধে র্যাব-১৫ প্রতিনিয়ত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, একটি মোটর সাইকেল যোগে কতিপয় মাদক কারবারী বিদেশী মদ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্য সাথে নিয়ে বাজারঘাটা হতে কক্সবাজার শহরের দিকে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ অনুমান ১৭.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিএসসি’র একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন কক্সবাজার পৌরসভার ০৩নং ওয়ার্ডস্থ ঘুমগাছতলা এলাকায় সড়কের উপর অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান শুরু করে। এ সময় একটি মোটর সাইকেলের তিনজন আরোহী দ্রুত গতিতে চেকপোষ্ট অতিক্রমের চেষ্টাকালে মোটর সাইকেলটি ফেলে পালানোর একপর্যায়ে দুই মাদক কারবারী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব এবং মোটর সাইকেলের চালক কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আভিযানিক দল উক্ত Hero Glamour ১২৫ সিসি মোটর সাইকেল’টি (যার রেজিঃ রেজি নং কক্সবাজার-হ-১১-৭৫৮৩) জব্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তিদ্বয় তাদের সাথে থাকা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর বিদেশী মদের বোতল মজুদ রয়েছে মর্মে জানায়। অতঃপর উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিদ্বয়ের দেহ ও ০২টি প্লাস্টিকের বস্তা তল্লাশী করে সর্বমোট ২১ (একুশ) বোতল বিদেশী মদ (প্রতিটি কর্কে ইংরেজীতে MANDALAY DISTILLERY MYANMAR Since-1886 লেখা আছে) উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদ্বয়ের বিস্তারিত পরিচয় ১। মিজবাহ উদ্দিন রাজু (২৬), পিতা-মোহাম্মদ হোসেন, মাতা-রাশেদা বেগম, সাং-লাইট হাউজ, ১২নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, এবং ২। মোঃ ইমরান হোসেন (২২), পিতা-আব্দুল করিম, মাতা-মোস্তফা খাতুন, সাং-মাইজ পাড়া, ০৯নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন-পিএমখালী, উভয় থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক আসামীরা বেশ কিছু দিন ধরে পরস্পর যোগসাজসে মাদকের ব্যবসা করে আসছে। মাদক কারবারীরা আমদানি নিষিদ্ধ অবৈধ বিদেশী মদ চোরাই পথে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে প্রতিনিয়ত অভিনব কায়দায় অবলম্বন করে মাদক পরিবহনের কাজে মোটরসাইকেল ব্যবহার করতঃ জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকদ্রব্য বিক্রয় করে আসছিল।
র্যাব জানাই,উদ্ধারকৃত বিদেশী মদ’সহ ধৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।