উপমহাদেশের অন্যতম খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন আল্লামা শাহ্ আবদুল জব্বার(রঃ) এর ২৪তম মৃত্যু বার্ষীকি আজ।আল্লামা শাহ্ আবদুল জব্বার(রঃ)এই দেশে ক্ষণজন্মা এক মহাপুরুষ।একাধারে তিনি একজন লেখক,গবেষক,মুহাদ্দিস এবং সমাজ সংস্কারক ছিলেন।সারা বাংলাদেশে মসজিদে বায়তুশ শরফের প্রতিষ্ঠতা মহান এই আলেমে দ্বীনের ক্ষণজন্মা এই মহাপুরুষ বাংলাদেশে একজন মুকুট বিহীন সম্রাট।
মসজিদে বায়তুশ শরফ বাংলাদেশের একটি অন্যতম ধর্মীয় ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।আমাদের নতুন প্রজন্ম অনেকেই বায়তুশ শরফ এবং আল্লামা শাহ্ আবদুল জব্বার(রঃ)এর ব্যাপারে ব্যাপারে তেমন ধারনা নেই।এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৫২ সালের ২ অক্টোবর মসজিদ ভিত্তিক মানবসেবা মূলক সংগঠন ” বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ ” প্রতিষ্ঠা করেন কুতুবুল আলম শাহসূফী আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মীর মোহাম্মদ আখতর ( রাহ.) প্রকাশ – হযরত কেবলা (রহঃ)।
১৯৭১সালে তিনি ইন্তেকালের পূর্বেই পবিত্র কা’বা শরীফের সম্মুখে খিলাফতের দায়িত্বভার তাঁর একমাত্র সুযোগ্য খলিফা শাহসূফী আল্লামা আাবদুল জব্বার (রাহঃ)কে বায়তুশ শরফের পীর হিসাবে মনোনয়ন ও দায়িত্ব প্রদান করেন। অবশ্য তিনি ” আনজুমনে ইত্তহাদ বাংলাদেশ এর ” এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সভাপতি হিসেবে ১৯৯৮ সালের ২৫ মার্চ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
গত প্রায় সাত দশক ধরে মরহুম শাহ্ মীর আকতার(রঃ)ও শাহ্ আবদুল জব্বার(রঃ) তাঁদের ত্যাগ-তিতিক্ষা, মেধা,প্রজ্ঞা,বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতায় সারাদেশে যে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে গেছেন তা সত্যিই বিস্ময়কর। ইতিহাসের পাতায় সোনালী অক্ষরে তাঁদের সে অবদান লেখা থাকবে।
শাহ্ আবদুল জব্বার(রঃ) মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোরান শরিফের তাফসীর সহ মোট ২১টি গ্রন্থ রচনা করেছেন।এছাড়া ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ চট্টগ্রামে আর্ন্তজাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।আলেম ওলামাদের মতানৈক্য দুর করতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশ।বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসা সহ ১৬টি মাদ্রাসা,১৮টি হেফজখানা ও এতিমখানা, ৬৫ টি মসজিদ,কক্সবাজারে একটি পূর্ণাঙ্গ চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন।