ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নতুন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান। তিনি বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান হিসেবে রয়েছেন।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
হাবিবুর রহমান বিসিএস ১৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ডিএমপি সদরদপ্তরের ডিসি, ঢাকা জেলার এসপি, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এবং পুলিশ সদরদপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
গোপালগঞ্জের চন্দ্র দিঘলিয়া গ্রামে ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন হাবিবুর রহমান। কর্মক্ষেত্রে সততা, সাহসিকতা ও দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ তিন বার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও দুই বার রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন তিনি। পেশাগত কাজের বাইরে লেখালেখিসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে যুক্ত এই পুলিশ কর্মকর্তা।
২০১৮ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরে একটি বই সম্পাদনা করেন হাবিবুর। যার নাম দেন ‘মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ’।
বেদে জনগোষ্ঠী ছাড়াও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার যৌনকর্মী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়েও কাজ করেছেন হাবিবুর রহমান। দৌলতদিয়ার যৌনপল্লির শিশুদের জন্যও কাজ শুরু করেছেন তিনি, সেখানে গড়ে তুলেছেন উত্তরণ ফাউন্ডেশন নামে একটি ফাউন্ডেশন। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে টেলিকম ভবনে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গড়াতেও তার ভূমিকা রয়েছে।
এদিকে সদ্য নিয়োগ পাওয়া যোগ্য ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন,নির্যাতিত সাংবাদিক দৈনিক কক্সবাজারবানী ও জনতারবানী সম্পাদক এবং প্রকাশক ফরিদুল মোস্তফা খান।
এক বিবৃতিতে তিনি জনাব হাবিবুর রহমানকে ডিএমপি কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের দায়িত্বশীলদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন,মেজর সিনহা হত্যা কান্ডের পর কক্সবাজার থেকে বিতাড়িত কিছু চিহ্নিত মাদক গডফাদার খ্যাত মাস্ক পড়া ইয়াবা সংশ্লিষ্ট ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
তাদের সাথে রয়েছে টেকনাফ কক্সবাজারের বাঘা বাঘা ইয়াবা সম্রাটদের গোপন কানেকশন।
কাজেই বিপথগামী এসব মুখোশ পরিহিত পুলিশ সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে যে কোন সময় নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাউকে খুন ঘুম হামলা মামলা বা অন্য কোনভাবে হয়রানি করে গণতন্ত্রের মানসকন্য শেখ হাসিনা সরকার এবং সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পারে।কাজেই বিযয়টি উড়িয়ে না দিয়ে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন,ইয়াবা ওসি প্রদীপ এবং গডফাদার এমপি বদি এবং তাদের অনুসারীদের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে মরতে মরতে বেঁচে যাওয়া জেল ফেরত নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা।
বিষয়টি জরুরিভাবে আমলে নিয়ে কার্যকর ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য সকল গোয়েন্দা সংস্থার তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্বাধীনতার স্বপক্ষীয় এই সাংবাদিক এবং মজলুম জননেতা।