পেকুয়ায় সদ্যঘোষিত কলেজ ছাত্রদলের কমিটি বিতর্কে ছাত্রনেতাকে না পেয়ে পিতাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম
নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ ৪বছর পর ১৬-০৯-২৩ ইং (শনিবার) পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ফরহাদ এবং সদস্য সচিব মারুফের স্বাক্ষরিত পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজ ছাত্রদলের কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হতে দেখা যায়।কিছুক্ষণ পর একই সাক্ষরে পাল্টা আর একটি কমিটি অসংখ্য ছাত্রনেতাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।এক ইউনিটে একি দিনে দুইটা কমিটি দেখে তৃনমুল ছাত্রদল নেতারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে।এবিষয়ে অনেক ছাত্রনেতারা বলেন পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদল তিন গ্রুপে বিভক্ত।একটি ফরহাদ -এরশাদ -মারুপ গ্রুপ, দ্বিতীয়টি সাঈদী গ্রুপ, তৃতীয়টি হল ত্যাগী ও পদ বঞ্চিত দের নিয়ে।মুলত নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করার জন্য পেকুয়া ছাত্রদলকে ধংস করা হচ্ছে বলে তৃণমূল ছাত্রনেতাদের দাবী।যার ফলে ছাত্রনেতাদের অপব্যবহার করে কিছু সুবিদা ভুগী বিএনপি নেতা দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বলে দবি করেন তৃনমুল ছাত্রনেতারা যার প্রমাণ কিছুদিন আগে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রান বিতরণের জন্য ত্রান কমিটি করে উপজেলা বিএনপি যা বিএনপির সাভাপতি এম বাহাদুর শাহ এর আইডি থেকে পাবলিশট করা হয়।কিন্তু বিএনপির অন্য একটি পক্ষ এরশাদ গ্রুপকে ব্যাবহার করে পালটা আর একটি কমিটি ফেসবুকে ভাইরাল করে।ফলে আর ত্রান বিতরণ হয়নি। তবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি কারণ বিশৃঙ্খলার নৈপথ্যে ছিল বাহাদুর শাহর ভাগিনা ফরহাদ।এত বিশৃঙ্খলার পরও শাস্তি না হওয়ায় আস্কারা পেয়ে কমিটি ও পালটা কমিটি করে আবারও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।এই পালটা কমিটিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে তর্কাতর্কি হয় একপর্যায়ে শৃংখলা রক্ষায় সাঈদীর গ্রুপ শান্ত হয়ে সরে গেলে তাকে না পেয়ে তার পিতা সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তি ডাক্তার শাহাপ উদ্দিন কে দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সি: যুগ্ন আহবায়ক এরশাদ। পুত্র রাজনীতি করার অপরাধে নিজ দলের নেতার হাতে একজন পিতাকে কুপিয়ে আঘাত হওয়ার খবরে পেকুয়া জুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে চলছে। এই ঘটনায় পেকুয়া চৌমুহনী উত্তেজনা বিরাজ করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ভাবে এরশাদ কে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উল্লেখ যে পূর্বে এমন ঘটনায় জড়িত থাকায় এরশাদ কে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল বলে জানা যায়।তৃণমূল ছাত্রনেতারা ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ঘটনায় জড়িতদের বহিষ্কার সহ এই মেয়াদ উত্তির্ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার দাবী তুলছেন।