মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী,টেকনাফ
মাদক,রোহিঙ্গ,মানব পাচার,সাগর উপকূলের মৎস্য ঘাট নিয়ন্ত্রন,স্থল বন্দর,ইটভাটায় রোহিঙ্গা শ্রমিক,চেকপোস্টে যানবাহন তল্লাশির নামে যাত্রী হয়রানি,পৌরসভার প্রধান সড়কে যত্রতত্র স্থানে গাড়ি পার্কিং,সিন্ডিকেট কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূলের উধ’গতি,কৃষি জমি ও পুকুর থেকে মাটি উত্তোলন ও বাণিজ্য,স্থল বন্দরের একটি গেইট এর সামনে পরিবহন গাড়িরব জন জাট এবং উপজেলা পরিষদের চতুর্দিকে সীমানা প্রাচীর,অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও আইন শৃংখলার স্বার্থে আরও সিসি ক্যামরা স্থাপন সহ নিয়ে
উপজেলা আইন শৃংখলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভা১১সেপ্টেম্বর সকাল১০ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আদনান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম।বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আকতার মিলিও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃএরফানুল হক চৌধুরী,উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাকিরুল ইসলাম।বক্তব্য রাখেন,সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন,হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ নুর আহমদ আনোয়ারী,সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান,টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ অফিসার ফারুক আহমদ,টেকনাফ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহীর হোসেন এম এ ও সাবরাং ইউনিয়ন আঃলীগ লীগের সভাপতি সোনা আলী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম।চলতি বছর জুলাই মাসে বিজিবি,কোস্ট গার্ড ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পৃথক অভিযানে ২৩কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ৩৪০টাকার দামে ইয়াবা,ক্রিস্টাল মেথ আইস,বিদেশি,সুপারি,থামি, বিয়ার,মদ,সিগারেট,লুঙ্গি সহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করে এবং ৯১টি মামলার বিপরীত ৪৫ জন চোরাকারবারীকে আটক করেছে।এর মধ্যে টেকনাফ বিজিবি১কোটি ৭৯ লাখ ৪৪০ টাকা, ৩৬৬০ টি অভিযানের বিপরীতে মামলা ৭৮ এবং আটক ৩১জন চোরাকারবারী এবং জব্দকৃত মালামালের মধ্যে ইয়াবা,ক্রিস্টাল মেথ আইস সহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল,কোস্ট গার্ড ২১ কোটি ৬১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দামের ইয়াবা,ক্রিস্টাল মেথ আইস ও বিভিন্ন প্রকারের জাল এবং ৬৫ টি মামলার বিপরীত আসামি আটক নেই ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ১৪ লাখ ১৯ হাজার ৯ শত টাকা দামের ১১মামলার বিপরীত ১৪ জন চোরাকারবারীকে আটক করেছে।জব্দকৃত ৪৭ হাজার ৩৩০ পিস ইয়াবা মাত্র।এ ছাড়া গত জুন ও জুলাই দুই মাসে অপরাধ চিত্রের মধ্যে খুন,ডাকাতি, অপহরণ, ধর্ষণ,শিশু নির্যাত,অস্ত্র, ও মানব পাচার সহ ১৬০টি অপরাধ সংগঠিত হয়। অপরদিকে জুলাই মাসে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক পরিচালিত ২৫ হাজার৭শত টাকার অর্থ দণ্ডের বিপরীতে ৭টি মামলা ও ৫ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন,আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নে উল্লেখিত বিষয়গুলো সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবে প্রয়োগ পূর্বক ব্যবস্থা নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সদস্য,শিক্ষক,বিজিবি,কোস্ট গার্ড,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,আনসার বিডিপি অফিসার,প্রতিনিধি ওহ্নীলা ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও সাংবাদিক।