বার্তা পরিবেশক
রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজলের ডাকা সর্বদলীয় মতবিনিময় সভা মানুষের উপস্থিতি অপ্রতুল হওয়ায় তড়িগড়ি করে শেষ করতে হয়েছে। একারণে উপজেলা পরিষদের ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্তত ৩০ জন বক্তা বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পাননি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সর্বদলীয় নেতাকর্মী, ধর্মীয় ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহনে রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন- সোহেল সরওয়ার কাজল। সুসজ্জিত প্যান্ডেলে ৮ শতাধিক চেয়ার দেয়া হয়। এতে শুরুতে উৎসুখ মানুষের উপস্থিতি থাকলেও সভা শুরুর পরপরই উপস্থিত এসব লোকজন সভাস্থল ত্যাগ করতে থাকে।
সভার শুরুতে সূচনা বক্তব্যে সোহেল সরওয়ার কাজল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে পেলে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষনা দেন। কিন্তু এ ঘোষনার পরপরই সভায় আগত জনতা চেয়ার থেকে উঠে সভাস্থল ত্যাগ করতে শুরু করে।
সমাবেশে আসা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মী জানান- মাসখানেক ধরে এ সমাবেশ নিয়ে প্রচার-প্রচারনা চালানো সত্তে¡ও লোকসমাগম উল্লেখযোগ্য হয়নি। এতে সোহেল সরওয়ার কাজলের কাছের নেতাকর্মীরা চরমভাবে হতাশ। যিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়া সত্তে¡ও সমাবেশে হাজার খানেক লোকজন আনতে পারেননি, তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করার ঘোষনা দেয়াটা একেবারেই হাস্যকর।
তারা আরও জানান- প্রতিবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই এ আসনের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের মনোনয়ন ঠেকাতে দলের কিছু কূচক্রী মহল উঠে-পড়ে লাগে। এরই অংশ হিসেবে সোহেল সরওয়ার কাজলও এ সমাবেশের মাধ্যমে এমপি কমলের বিরুদ্ধে শোডাউন করতে গিয়ে উল্টো সুপার ফ্লপ হলেন।