জিয়া উদ্দিন তৌহীদ:
ভারত এবং আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতি বদলায় না এটা ঠিক। ১০ ট্রাক অস্ত্র ও বাংলা ভাইয়ের উত্থান কিন্তু আমেরিকার চিন্তার বিষয়। আসামের উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ঢাকায় বসবাসের সুযোগ, ভারতের চিন্তার বিষয়। তাই পূর্বের নীতিতে অটল থাকাটাই স্বাভাবিক। যৌক্তিক বক্তব্য বারবার দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
পশ্চিমা দেশগুলোর চিন্তার বিষয় হলো, ৬৪ জেলায় বোমা হামলা এবং উগ্রবাদী মুফতী হান্নান-মাওলানা তাজুল ইসলামের কর্মকান্ড। একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল, পরাশক্তির উপর নির্ভরশীল হতে পারে না। বিএনপি আমেরিকার উপর সওয়ার হয়েছে, তাই ভারত শুধু আমেরিকাকে বিএনপির অতীত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে মাত্র।
তারপরও আমাদের রাজনৈতিক শৃঙ্খলা ও শুভ বুদ্ধির সূচনা হউক। দেশটা আমাদের সকলের। কি দরকার ছিলো, রাষ্ট্রপতি প্রনব মূখার্জীর আগমনের দিন হরতাল ডাকার? ২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা অসভ্য রাজনীতির পরিচয়। তথাকথিত ইসলামী রেনেসাঁর স্বপ্ন কেনো দেখেছিলেন? কি প্রয়োজন ছিলো? বিএনপি শক্তিশালী দল আবার ইসলামী রেনেসাঁর কি দরকার?
জামায়াত নেতাদের গাড়ীতে পতাকা তুলে দেওয়ার কি দরকার ছিলো? পশ্চিমা দেশগুলোর চিন্তা চেতনা না জেনে শুধু মাত্র হাওয়া ভবনে বসে, যা খুশী তাই করা যায় না। জামায়াতের গুরু মওদুদীকে বৃটেন ফাঁসি দিয়েছেন কেনো? সিনেমা হলে হামলা, উদিচীর সভায় হামলা ও কমিউনিস্ট পার্টির জনসভায় হামলা রুশরা বা রাশিয়া ভালোভাবে নেয়নি।