বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সরকার শেষ অস্ত্র হিসেবে আদালতকে ব্যবহার করছে এক অমানবিক দমনের যন্ত্র হিসেবে। আদালত, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলের কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য।
বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন রিজভী। এতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সবপর্যায়ের নেতাকর্মীকে গণমিছিল কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জানান, সরকার পতনের ১ দফা আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে আগামী শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীতে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
রিজভী বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকার নিজেদের অস্তিত্ব টিকানোর জন্য গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানসহ বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীরা এখন আজ্ঞাবহ আদালতের কোপানলে সাজা ও বন্দির শিকার হচ্ছেন।
যারাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করছেন, তারাই শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন।
আইন, বিচার, আদালত, প্রশাসন, পুলিশ সবকিছুই একাকার হয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলোর ওপর সর্বগ্রাসী আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার হিংসার পথে গণতন্ত্রের পক্ষের মজলুম নেতাদের নতজানু করতে না পেরে এখন আদালতকে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, সাজা দেওয়ার হিড়িক শুরু করেছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ঢাকাসহ প্রায় সারা দেশে ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ২০ জনের অধিক লোক ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সারা দেশে ৭ শতাধিক লোক মারা গেছে। অবৈধ সরকারের উদাসীনতার কারণেই লাশের সারি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ভারতে চাঁদে যেতে খরচ হয় ৬৫১ কোটি টাকা, অথচ বাংলাদেশে মশা নিধনের বাজেট প্রায় ২০০০ কোটি টাকা।
গত ১২ জুলাই একদফা আন্দোলনের ঘোষণার পর এ পর্যন্ত বিএনপিসহ সমমনা জোট ও দলগুলো ঢাকায় পদযাত্রা, মহাসমাবেশ, ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান, গণমিছিল ও কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি করে। সর্বশেষ গত ২৪ ও ২৫ আগস্ট ঢাকাসহ সারা দেশে কালো পতাকা মিছিল করেছেন তারা।