• শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর
চোরাচালানকারী ও মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে নোট নিচ্ছি, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না- রামু থানায় স্বরাষ্ট্র সচিবপ্রতিটি মানুষের জীবন অমুল্য সম্পদ অপরাধ দমনে ইসলামের পদ্ধতি সর্বজনীনআমরা ঐক্যের মধ্যে দিয়ে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করব: মির্জা ফখরুলসম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে চায় বাংলাদেশ-তুরস্কবিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় সারাদেশে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিতবৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টাবাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা সুস্থ দেহ, সুস্থ মন, সুস্থ শরীর, প্রফুল্ল প্রশান্ত আত্মা আর শান্তির বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক ঘরে ঘরেঅপরাধীদের জন্য আগুন প্রস্তুত রেখেছেন আল্লাহমার্চ মাসে রপ্তানিতে ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধিনতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৯০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক : গভর্নর

অপহ্নত সেই ৩ বনকর্মী টেকনাফ থেকে উদ্বার।

কক্সবাজারবানী ডটকম:
আপডেট : সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের শিকার তিন বনকর্মীকে চারদিন পর অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৪ আগষ্ট) দুপুর ১ টার দিকে টেকনাফ থানা পুলিশ ও বন বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনীর গহীন বন থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে মোচনী বিটের নেচার পার্ক পাহারা দেয়ার সময় তাদের অপহরণ করা হয়। পরে তাদের ফেরত পেতে হলে ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে তাদেরকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।

তারা হলেন- হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে ২০ বছর বয়সী মো. শাকের, একই এলাকার বকছু মিয়ার ছেলে ৪২ বছরের আবদুর রহমান ও আবদুর শুক্কুরের ছেলে ৪৬ বছরের আবদুর রহিম। এই তিনজন বেসরকারি সংস্থা নিসর্গের অধীনে বন পাহারাদার হিসেবে কর্মরত।

তিন বনকর্মী উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি জোবাইর সৈয়দ। অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশের এমন ভূমিকায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় বারবার অপহরণের ঘটনা ঘটলেও মুক্তিপণ দেয়া ছাড়া কেউ ফিরে এসেছে এমন কথা শুনি নাই। এবারই প্রথম আমাদের সবার প্রচেষ্টায় উদ্ধার হয় আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের সঙ্গে এলাকার লোকজন পুলিশ, বনবিভাগের কর্মকর্তা ও সিপিজির সদস্যরা এত সময়ের মধ্যে মানুষগুলোকে উদ্ধার করেছে, তাই সবাই খুশি।

উদ্ধার হওয়া মো. শাকেরের বড় ভাই মো. আয়ুব বলেন, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মোবাইলে ফোন করে আমার কাছে ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। পুলিশ ও বনবিভাগের সকল কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী তিন দিন ধরে তাদেরকে উদ্ধারের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, অপহৃত তিন সিপিজির সদস্যকে সবাই মিলে উদ্ধার করতে পেরেছি তাই আল্লাহর দরবারে বিশেষ শুকরিয়া জানাই। তবে তাদের কারা অপহরণ করছে, এ বিষয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

উল্লেখ্য, টেকনাফে এ পর্যন্ত শতাধিক অপহরণের ঘটনায় দেড় শতাধিক লোক অপহরণকারীর কবলে পড়েছেন। যারা মুক্তিপণ দিতে পেরেছেন তারা ফেরত আসতে পেরেছেন। মুক্তিপণ দিতে না পেরে এক ইজিবাইক চালকসহ ৬ জন খুন হয়েছেন।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন