রাজাকার প্রেমিদের অব্যাহতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।
জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে কুমিল্লায় ছাত্রলীগের ১৭ জন নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেলের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দীন বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপের জড়িত থাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতারা হলেন- কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রাতুল রহমান আশিক, বাঙ্গরা বাজার ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ আবুল কাসেম, দেবিদ্বার উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাইদুর রহমান, মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. মেজবা উদ্দিন, মেঘনা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টিটু মিয়া, মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নাজমুল খান, উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. ইসমাইল, চান্দিনার দোল্লাই নোয়াবপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. তারেক, মেঘনার লুটেরচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক নাঈমুল ইসলাম শান্ত।
এছাড়াও আছেন- চান্দিনার গল্লাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাঈম, মহিচাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজ উদ্দিন মোল্লা, বাতাঘাসি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, দেবিদ্বারের বড়শালঘর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছাদেক হোসেন ব্যাপারী, চান্দিনার বাতাঘাসি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. ফাহিম, গল্লাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিফাত তানজির, বাতাঘাসি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. ফাহিম, দেবিদ্বারের বারকামতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এনামুল হক।
তবে ছাত্রলীগের একটি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য মাধ্যমে পোস্ট ও লেখালেখির কারণে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের ১৭ পদধারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে
এ বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেল বলেন, রাজাকার প্রেমী যারা আমাদের সংগঠনে ঘাপটি মেরে পদপদবি বহন করছিলেন আমরা তাদের অব্যাহতি দিয়েছি। সাঈদীর মৃত্যুর পর থেকে আমরা বিষয়টি নজরদারিতে রাখছিলাম। এরপর যারা তার পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এই মতাদর্শের আরো যদি কেউ থেকে থাকেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদেরও অব্যাহতি দেওয়া হবে।
সূত্র-জনকন্ঠ