মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী :
টেকনাফের চার ইউনিয়নের পাহাড়ী ২৮টি ছড়ায় ও খালে স্লুস গেইট নির্মাস করা হলে কয়েক হাজার হেক্টর কৃষি জমি শুস্ক মওসুমে দ্যুরো চাষের আওতায় আসবে। টেকনাফ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন দপ্তর সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে হোয়াইক্যং, বাহারছড়া, হ্নীলা ও টেকনাফ সদর পাহাড় সংলগ্ন ইউনিয়ন। এ চারটি ইউনিয়নে ২৮টি পাহাড়ী ছড়া ও খাল রয়েছে। ছড়া ও খালের পাশ্বে কৃষকেরা কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করে থাকে। কৃষকেরা নিজস্ব অর্থায়ানে ছড়া ও খাল বাধ নির্মান করে চাষাবাদ করলেও বর্ষা ও ব্যুরো মওসূমে মাটির বাধ রক্ষা করতে পারেনা। ফলে লোনা পানি প্রবেশ করে। যদি ছড়া ও খাল সরকারী ভাবে স্লুস গেইট নির্মান কারা হলে এ চার পাহাড়ী ইউনিয়নের কয়েক হাজার হেক্টর কৃষি জমি ব্যুরো চাষের আওতায় আসবে। মর্মে স্থানীয় কৃষকেরা এ তথ্য জানায়। এতে করে চার ইউনিয়নের খাদ্য সংকট পূরণের পাশাপাশি বিভিন্ন শবজি চাষের সুবিধার্জন করতে পারবে কৃষকেরা। অনুসন্ধানে জানা যায়, টেকনাফে যে কারণে আবাদকৃত কৃষি জমি কমে যাওয়ার কারণ, যেমন, ইটভাটা, লবন মাঠ, পুকুর হমল করে মৎস্য চাষ, রোহিঙ্গাদের বসতি, এনজিওদের অফিস ও অপরিকল্পিত স্থাপনা। টেকনাফে আবাদকৃত মোট জমির পরিমান ১০ হাজার ৮১৫ হেক্টর এর মধ্যে হোয়াক্যং এ ৬৪৩০ হেক্টর, হ্নীলায় ১১৮৫ হেক্টর, বাহারছড়ায় ১০৬০ হেক্টর, টেকনাফ সদরে ১৩৩০ হেক্টর, সাবরাং এ ৭৪০ হেক্টর, সেন্টমার্টিনে ৬৫ হেক্টর ও টেকনাফ পৌরসভায় ০৫ হেক্টর। এ তথ্য টেকনাফ কৃষি অফিস সূত্রে। মেরিন ড্রাইব সড়ক নির্মিত এবং প্রতিবছর দেশী ও পর্যটকদের আগমন বৃর্দ্দির পর টেকনাফ কৃষি আবাদী ও অনাবাদী জমির দাম বৃর্দ্দি পাচ্ছে। সমূদ্র উপকূলবর্তী বাহারছড়া, টেকনাফ সদর, সাবারং ও শাহপরীরদ্বীপ পর্য্যন্ত মেরিন ড্রাইব সড়কের পাশে জায়গা জমির দাম এখন সোনার হরিণে পরিনত। বীচ ম্যানেজমেন্ট এবং সরকারী নিয়মনীতি ছাড়াই মেরিন ড্রাইব সড়ক সৈকত এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠেছে, বিভিন্ন স্থাপনা। এভাবে আবাদী জমি ক্রমস: গ্রাস হয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ১০ বছরে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এক খন্ড বসবাসের জায়গার সুযোগ পাবেনা। যা নিয়ে সচেতন নাগরিকদের মধ্যে ইতোমধ্যে ভাবনা শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদ বন বা পাহাড়ে বিত্তহীন পরিবার ও রোহিঙ্গাদের আবাস ভুমিতে পরিনত হচ্ছে। সরকারী খাস জমিতে প্রভাবশালীদের দখলে থাকায় বিত্তহীন লোকেরা পাহাড়ের দিকে ঝুকে পড়েছে। এ প্রসংগে টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ডঃ ভবসিন্ধু রায় বলেন, আবাদী ও অনাবাদী কৃসি জমিতে ইটভাটা, পুকুর হনল এবং যত্রতত্র স্থানে ভবন ও স্থাপনা নির্মান করা কৃষি আইন বিরোধী এবং এ নিয়ম অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে কৃষি জমিতে আশনি সংকেত দেখা দেবে এবং পরিবেশ পরিস্থিতি বসবাস অনুপযোগী হয়ে দাড়াবে। ……………………………..