মোঃ নাজিম উদ্দিন (কুতুবী) পেকুয়া প্রতিনিধি,
অবশেষে পরিচয় মিলেছে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ভেলুয়ার পাড়া খাল থেকে উদ্ধার হওয়া সেই মৃত ব্যক্তির। তাঁর নাম জেবর মুল্লক (৬৫)। তিনি রাজাখালী ইউনিয়নের বদিউদ্দিন পাড়ার মৃত.আলী মিয়ার ছেলে।
জানাগেছে, গত ৩০ আগস্ট সকালে ভেলুয়ার পাড়া খাল থেকে অর্ধগলিত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পেকুয়া থানা পুলিশ। তাৎক্ষনিক তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। লাশের পরিচয় শণাক্ত করতে কাজ শুরু করেন কক্সবাজারের ক্রাইম সীন ইউনিট পুলিশ।
ওইদিন ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম তাঁর লাশ দাফন সম্পন্ন করে।
নিহতের ছেলে ওসমান গনি বলেন,বদি উদ্দিন পাড়ায় বাড়ি হলেও বাবা মা থাকেন রায়বাপের পাড়ায়। কয়েক মাস আগে মুজিববর্ষের দেওয়া ঘরে তাঁরা সেখানে ওঠেন। টইটংয়ের ধনিয়াকাটা গ্রামে আলী হায়দার নামে তাঁর এক ভাই থাকে।
রায়বাপের পাড়া থেকে গত ২৭ আগস্ট বিকেলে ধনিয়াকাটা ছেলের কাছে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বের হন বাবা। এরপরে তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা মনে করছিলাম বাবা ধনিয়াকাটায় ভাইয়ের বাসায় আছেন। পরে জানতে পারি বাবা সেখানে যায়নি। অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের খবর শুনে বৃহস্পতিবার থানায় যোগাযোগ করি।
ছবি ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক দেখে বাবার পরিচয় শণাক্ত করি। তবে পুলিশ বলছে বাবাকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে কক্সবাজারে দাফন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, জেবর মুল্লক ৯সন্তানের জনক। তাঁর ৫ছেলে ও ৪ মেয়ে। সবার বিয়ে সাদি হয়েছে। দুই ছেলে সৌদি প্রবাসি। ছেলেরা সবাই প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু কোথাও ঠাঁই হয়নি বৃদ্ধ বাবা মার। গৃহহীন হয়ে ঠাঁই হয়েছে মুজিববর্ষের দেওয়া ঘরে। গত ৫-৬ বছর ধরে কর্মসৃজন কর্মসুচি প্রকল্পের শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন,পরিচয় পাওয়া গেছে। গতকাল থানায় তাঁর এক ছেলে আসছিল। কিন্তু এর আগে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম লাশ দাফন করে ফেলেছে।