মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী:
উপজেলা মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির সভা ২৮ আগস্ট সকাল ১১টায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নিবাহী অফিসার মোঃ আদনান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন,টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আকতার মিলি, টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ও’সি) মোঃ জোবায়ের সৈয়দ,উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাকের হোসেন,টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার ও রোগ নিয়ন্ত্রণ ডাঃপ্রনয় রুদ্র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মোরশেদ। মতামতমূলক বক্তব্য রাখেন,সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন,হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান, হোয়াইকং ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ নুর আহমদ আনোয়ারী,টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহীর হোসেন এম এ,সাবরাং ইউনিয়ন আঃলীগ লীগের সভাপতি সোনালী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম প্রমূখ। আলোচনায় মৌলিক যে সব অভিযোগ উঠেছে,তার মধ্যে ইয়াবা, মানব পাচার, রোহিঙ্গাদের অবাধে বিচরণ,ফসলি জমির মাটি খনন ও বানিজ্য,নাফ নদীতে মাছ আহরণ, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও জলযান যোগে মাদক, মানব পাচার ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে স্থাপনা নির্মাণ সহ সার্ভিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।উপস্থিত ছিলেন,আইন শৃংখলা কমিটির সদস্য সরকারি ও বেসরকারি উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের অফিসার.চেয়ারম্যান,বিজিবি প্রতিনিধি,কোস্ট গার্ড প্রতিনিধি,শিক্ষক ও সাংবাদিক।২০ জুলাই উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী বিজিবি,কোস্ট গার্ড ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রদত্ত গেল জুন মাসে পৃথক অভিযানে ৩৪ কোটি ৬৯ লাখ ১ হাজার টাকার দামে ইয়াবা,আইস,গাঁজা, বিদেশি বিয়ার,মদ, সিগারেট,স্বর্ণালংকার ও মিনিবাস সহ ৪৬ জন পাচারকারীকে আটক করেছে।
এর মধ্যে বিজিবি ২ কোটি ৫৫ লাখ ১০ হাজার ৭৭২ টাকার ইয়াবা, আইস,মহিশ,বিয়ার গাঁজা সিগারেট ও স্বর্ণা লংকার।কোস্ট গার্ড২১কোটি ৬১ লাখ ৪০ হাজার টাকার ইয়াবা,আইস,বিয়ার ও দেশি-বিদেশি মাদক ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ১০ কোটি ৫২ লাখ ৫১ হাজার ইয়াবা,গাঁজা ও মিনিবাস সহ এর সাথে জড়িত থাকায় ৮ জনকে আটক করেছে। অপর দিকে টেকনাফ মডেল থানার প্রদত্ত জুন সহ গত ২ মাসে তুলনামূলক অপরাধ চিত্রের মধ্যে ডাকাতি ১খুন-২আটক ৫৪ জন,অপহরণ-৩ জন,শিশু অপহরণ ৩ জন,মানব পাচার ২ জন অন্যান-১০ ও মোট ৮০। সভাপতি সমাপনী বক্তব্যে বলেন,আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষে নিতে সকলের সহযোগিতা দরকার। বিশেষ করে মাদক ও অশ্লীলতা হচ্ছে সকল অপকর্মের মূল।
এটি দমন করতে না পারলে গোটা জাতির জন্য ভয়াবহ পরিনতি ডেকে নিয়ে আসবে। তিনিস্থানীয় চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনারা নির্বাচনের আগে জনগণের কাছে ওয়াদা দিয়েছেন যে,জনগণের জান ও মালের নিরাপত্তার জন্য সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন এবং এ নিয়ে সকল ইউনিয়নে গ্রাম আদালত বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে আইন শৃংখলা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এছাড়া তিনি বলেন, নাফ নদীতে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের লিখত নির্দেশনা আছে কীনা বিজিবি প্রতিনধির কাছে জানতে চাইলে জবাবে বলেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ও মাদকের জোয়ার ঠেকাতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং এর বিস্তারিত তথ্য কতৃপক্ষ জানতে পারবে।