মোঃ নাজিম উদ্দিন (কুতুবী) পেকুয়া প্রতিনিধি,
কক্সবাজারের পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা এলাকায় বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে ফের পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে মাতামুহুরী নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ গ্রামীণ সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে মাতামুহুরি নদীর পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা, বলির পাড়া, সাঁকোর পাড়, চৈরভাঙা, চড়া পাড়া, সরকারী ঘোনা, সাবেক গুলদি, মাতবর পাড়া ও হরিণাফাঁড়ি গ্রামের অধিকাংশ বাড়িঘর তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে চলতি মাসের শুরুতে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছিলো পেকুয়া উপজেলার তিন লাখ মানুষ। ওই সময় ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ যথাসময়ে সংস্কার করা হলে ফের বানের পানি ঢুকতে পারতো না। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের অবহেলার কারণে আবার প্লাবিত হয়েছে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা নাছির উদ্দীন বাদশা বলেন, গত বন্যার পানি নেমে যাওয়ার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বেড়িবাঁধ সংস্কারে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। সদিচ্ছা থাকলে এক মাসের মধ্যে দুইবার বন্যা দেখা লাগতো না সাধারণ মানুষের। পরপর এই বন্যার কারণে কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারছেন না। এতে অন্তত ২৫ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা বলেন, বেড়িবাঁধের এই অংশটি ছাড়া অপর অংশ গুলো সংস্কার করা হয়েছে। বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ চলমান ছিলো। বৃষ্টির কারণে কাজ ধীরগতিতে চলছিলো।
পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছিলো। একইসাথে মাতামুহুরি নদীর পাহাড়ি ঢলের পানি বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। বৃষ্টি কমলেই বেড়িবাঁধের সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।