• রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
মহেশখালীতে ‘ফয়সাল ডাইন’ রেস্টুরেন্টের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু” কিডনি পাথর রোগীর খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিত ? “” কিডনি বিকলাঙ্গ রোগীর খাদ্য ব্যবস্থাপনা “কিডনি সুরক্ষায় করণীয়অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্যেকে জমি বিরোধের জেরে মারধর,, এএসইউ কর্তৃক ওয়ারেন্ট ভুক্ত এক আসামী গ্রেফতারকক্সবাজারে রামুর শীর্ষ ডাকাত শাহীন গ্রেফতার: সীমান্তে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের অবসানআশরাফ অর্জনে আলো ঝলমল এক পরিবার: ১৮তম NTRCA পরীক্ষায় “আরবি প্রভাষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তমহেশখালীতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবাঅবশেষে কক্সবাজার থানায় সংবাদকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় আদালতে মামলাঅফিস বন্ধের আগে প্রিপেইড মিটারে রির্চাজ করা ও জুনের মধ্যে বকেয়া বিল আদায়ের আহবান কক্সবাজার বিদ্যুৎ অফিসের

ফিরিয়ে না নিলে যে পদ্ধতিতে বাংলাদেশে এসেছি সেই পদ্ধতিতে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় রোহিঙ্গারা

মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী,
আপডেট : শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৩



মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী,টেকনাফ:

রোহিঙ্গাদের-নির্যাতন ও হত্যার-৬-বছর অতিক্রান্ত হয়েছে শনিবার ।।
তারা স্বদেশে ফিরে যেতে চায় সম্মান ও অধিকারের সাথে। তবে ক্যাম্প থেকে ক্যাম্প নয়। এ উপলক্ষে-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় উখিয়া ও টেকনাফের ক্যাম্প সমূহে। ২৫ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১১ টায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন রোহিঙ্গারা।

সমাবেশে আবেগময় বক্তব্য রাখেন, রোহিঙ্গা নেতা সৈয়দ উল্লাহ। তিনি যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে যেতে চান তারা।

মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও সহযোগীদের হাতে রোহিঙ্গাদের নির্বিচার হত্যার ষষ্ঠ বার্ষিকীতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ক্যাম্পগুলেতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বাসিন্দারা।

৩২টি ক্যাম্পে এ সমাবেশ করেন রোহিঙ্গারা।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাখাইনে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্য অনুযায়ী, সে নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৭ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা।

উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সমাবেশের আয়োজন করে রোহিঙ্গা এফডিএমএন রিপ্রেজেনটেটিভ কমিটি।

কমিটির নেতা মাস্টার সলিম উল্লাহ বলেন, ‘ফিরিয়ে না নেয়ার জন্য মিয়ানমার নানা ছলচাতুরি করছে, কিন্তু আমরা এভাবে এখানে পড়ে থাকতে পারি না। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আরও তদবির করব।

‘তারপরও যদি ফেরত না নেয়, তাহলে ২০১৭ সালে যেভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলাম, ঠিক সেইভাবে সীমানা অতিক্রম করে আমরা নিজ দেশে ফেরত যাব।’

সমাবেশে বক্তব্যের সময় রোহিঙ্গা নেতা সৈয়দ উল্লাহ জানান, যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে যেতে চান তারা।

তিনি বলেন, ‘শরণার্থীবিষয়ক কমিশনও বারবার চেষ্টা করেছে আমাদের দেশে ফেরত পাঠাতে, কিন্তু নানা কারণে থমকে আছে প্রত্যাবাসন।’

এদিকে রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির নেতা মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এখন বিপদে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেড়েছে অপরাধ প্রবণতা। ছয় বছরে নিজেদের মধ্যে সংঘাতে মারা গেছে দেড় শতাধিক রোহিঙ্গা।

‘অপহরণ, ধর্ষণ ডাকাতি ও মানব পাচার মিলে মামলার সংখ্যা মোট তিন হাজার ২০০টি। এ পরিস্থিতিতে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিকল্প দেখছে না স্থানীয়রা।’

তিনি বলেন, ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের আশ্রয়ে আছেন, এ সংখ্যাটি পুরোনো হিসাব। নতুন হিসাব হচ্ছে, গত ছয় বছরে রোহিঙ্গা বেড়েছে আরও কয়েক লাখ। প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে ৩২টি ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা চলছেন বাংলাদেশের মানবতায়। খাওয়া-দাওয়া-চিকিৎসা সবই ফ্রি।’

তিনি বলেন, ‘বিনিময় হিসেবে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশকে দিচ্ছেন হত্যা, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, পথেঘাটে ডাকাতি, মাদকের কারবার, মানবপাচার আর ধর্ষণ। অপরদিকে আরসাসহ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে ক্যাম্প ও ক্যাম্পের বাইরে।’

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা জানান, তারা শান্তি চান। রোহিঙ্গাদের কারণে নিয়মিত তাদের নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। পুলিশও জানে তাদের অপরাধের কথা, কিন্তু বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়েও অপরাধীদের কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছে না তারা।

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) জানায়, বেশির ভাগ রোহিঙ্গাই চান নিজ দেশে ফিরে যেতে, তবে এ জন্য তারা চান মিয়ানমারের নাগরিকত্ব সনদ ও সেখানে নিরাপদে বসবাসের নিশ্চয়তা।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে শরণার্থীবিষয়ক কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। আমরা প্রত্যাশা করছি দ্রুতই প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু হবে।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন