পেকুয়ায় ভিসা কিনে প্রতারিত যুবক! দালালের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।
নিজস্ব প্রতিবেদক পেকুয়া:
পেকুয়ায় দালালের খপ্পরে পড়ে নি:স্ব হয়েছে এক কৃষক পরিবার। বিদেশে ভালো চাকুরীর লোভ দেখিয়ে রাজাখালীর নতুন ঘোনা এলাকার মাহামুদুল করিমের পুত্র আতিকুর রহমানকে সৌদি আরবে নিয়ে গিয়ে জাল আকামা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বখশিয়া ঘোনা এলাকার মৃত আব্দু জলিলের পুত্র শাহ আলমের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত শাহ আলমের শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজাখালী নতুনঘোনাস্থ নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মাহামুদুল করিমের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে মাহামুদুল করিম ও তার পুত্র আতিকুর রহমানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
এসময় তারা বলেন, শাহ আলম লোভ দেখিয়ে বিদেশ নিয়ে গিয়ে প্রথমে ৫ লক্ষ টাকা ভিসা বাবদ নেন, পরে সৌদি আরব নিয়ে গিয়ে এলাকার একটি তুচ্ছ ঘটনার অজুহাতে আতিকুর রহমানের আকামা দেয়া বন্ধ করে দেন। আতিকুর রহমান বারবার আকামা খুজলে ৭ মাস পর একটি জাল আকামা দিলে কিছুদিন পর পুলিশ আতিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে দেন।
তখন শাহ আলম দেশে আসলে আতিকুর রহমানের পিতার কাছ থেকে ছেলেকে জেল থেকে বের করার কথা বলে আরো ৫০ হাজার টাকা নেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আতিকুর রহমান বলেন, সে বিদেশে নিয়ে গিয়ে আমাকে খুব বেশি হয়রানী করেছে। এলাকার একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমাকে সৌদি আরবে মারধর করেছে। একটি ঝাল আকামা দিয়ে আমার সাথে প্রতারণাও করেছে শাহ আলম নামের এই দালাল। এসময় তিনি শাহ আলমের দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন।
মাহামুদুল করিম বলেন, বিদেশে গিয়ে আমাদের পরিবারে ভাগ্য ফিরবে আশায় নিজের দোকান বিক্রি করে দালাল শাহ আলমকে টাকা দিয়েছিলাম, কিন্ত আজ সে আমাকে পথে বসিয়ে দিল। তিনি আরো অভিযোগ করেন, এই পর্যন্ত শাহ আলম প্রথমে ৫ লক্ষ, বিদেশে ২ লক্ষ ও জেল থেকে বের করবে বলে আরো ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি এ ব্যপারে স্থানীয় ভাবে শালিস বিচারের চেষ্টা করলেও শাহ আলম কোন বৈঠকে আসেন না বলে জানান।
মাহামুদূুল করিমের স্ত্রী বলেন, আজ আমরা পথের ভিখারী একমাত্র শাহ আলমের জন্য। আমাদের মেয়েকে আজ অভাবে তাড়নায় পড়ালেখা বন্ধ করে শহরে পোশাক কারখানায় দিতে হয়েছে। তিনি কেঁদে কেঁদে শাহ আলমের বিচার দাবি করেন।
এদিকে এ ব্যাপারে মাহামুদুল করিম বাদি হয়ে শাহ আলমের বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর মামলা (১৭৯২/২৩) দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।