ফরিদুল মোস্তফা খান :
আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুদ্দীন হত্যাকান্ড নিয়ে যারা কক্সবাজারের চৌকস মাদক চাদাবাজদের মুর্তমান আতংক অতিমেধাবী সুযোগ্য এসপি মাহফুজ এবং জেলা পুলিশ তথা সরকারের বিচার ব্যাবস্থা নিয়ে বিভিন্ন ধারা আইনগত ব্যাখা দিচ্ছেন তারা কি একবারও চিন্তা করে দেখেছেন দু’দিন আগে আর পরে এই হত্যা মামলার যথাযথ বিচার হবে!
খুনের সাথে জড়িত সে যত বড়ই রতি মহারথি হোকনা কেন? তাদের রক্ষা করে দেওয়ার নোংরা উদ্দিশ্য থাকলে পুলিশ ধৃত খুনিকে আটকের সাথে সাথে ঠাকুর মা’র গল্প সাজিয়ে জায়গায় খরচ করে দিতে পারত!
জেলা পুলিশের কর্নধার এসপি মাহফুজ বলেই ফেলছেন, মামলাটির তদন্ত শুধু শুরু হয়েছে।
এই বক্তব্য খুনির একান্তই নিজের। এই ঘটনার আগেও পরে আরও কিছু থাকতে পারে। যা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছেনা।
পুলিশ তদন্ত, আরো তদন্ত, নিখুঁত তদন্ত, শেষ তদন্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করবেন।
তবুও কেন কিছু বুদ্ধিজীবীরা বিষয়টি বিবেক দিয়ে অনুধাবন না করে তদন্তাধীন একটা আলোচিত মর্মান্তিক হত্যা মামলার বিষয় নিয়ে এসপি প্রত্যাহার আইনশৃঙ্খলা অবনতি খুনির পক্ষে পুলিশের অবস্থান সহ নানা আবেগী কথাবার্তা তুলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিবেদিত একটি সুসৃংখল বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কর্মকাণ্ড জনমনে প্রশ্নবিদ্ব করে প্রতিপক্ষ রাজনীতিবীদ এবং অসহায় মানুষগুলোকে সরকার এবং পুলিশের প্রতি অবিশ্বাসী করে তুলে পুরো ঘটনাটা অনেকটা হাস্যকর করে তুলছেন?
তা আমার বোধগম্য হচ্ছেনা!
এতে কি নিজেদের প্রিয়দল আওয়ামীলীগ এবং আপনাদের সম্মান বাড়ছে বলে মনে করছেন?
মনে পড়েনা? হত্যাকান্ডের কয় বছর পর জাতীর জনকের হত্যাকান্ডের বিচার,জজ মিয়া নাটকের রহস্য উন্মোচন, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হত্যা মামলা সহ চোখে দেখা কত কাহিনির চুড়ান্ত সমাধান হয়েেছে।
এসব মামলার সকল ক্ষমতাধর খুনিরা চেষ্টা কি কম করেছেন রক্ষা পেতে?
ফলাফল কি আদৌ কোন খুনির পক্ষে গেছে?
অতএব আগাম চলার মনোভাব এবং অস্থিরতা পরিহার করে শেষ সময় পর্যন্ত সকলকে শান্ত ও ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমি সংশ্লিষ্টদের সু পরামর্শ দিচ্ছি।
রাখা না রাখা আপনাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
কারন অপেক্ষার ফল সুমিষ্ট হয় আমি সেটাই জানি এবং মানি।
ইতিহাস সেটাই প্রমান করে।
– লেখক,নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান।
সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক কক্সবাজারবাণী।