• শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজারে রামুর শীর্ষ ডাকাত শাহীন গ্রেফতার: সীমান্তে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের অবসানআশরাফ অর্জনে আলো ঝলমল এক পরিবার: ১৮তম NTRCA পরীক্ষায় “আরবি প্রভাষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তমহেশখালীতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবাঅবশেষে কক্সবাজার থানায় সংবাদকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় আদালতে মামলাঅফিস বন্ধের আগে প্রিপেইড মিটারে রির্চাজ করা ও জুনের মধ্যে বকেয়া বিল আদায়ের আহবান কক্সবাজার বিদ্যুৎ অফিসেরবাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক নাটক অনুষ্ঠিতযুবদের নিয়ে নাগরিক সাংবাদিকতা ও প্রচারণা বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্নঅপরাধ দমনে কক্সবাজারের শ্রেষ্ঠ ওসি ইমন কান্তি চৌধুরীফরিদুল মোস্তফার ৬ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই বিএমএসএফভুলন্ঠিত মানবতা বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে ৬ বছরেরও প্রত্যাহার হয়নি নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুলের ৬ মিথ্যা মামলা, পুলিশী ষড়যন্ত্রে আটকে আছে পাসপোর্ট

কক্সবাজারের হাত-পা বাঁধা আওয়ামীলীগ নেতার লাশ উদ্ধার।

মোহাম্মদ ফয়সাল:
আপডেট : সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩


কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষে মিলেছে পৌর আওয়ামী লীগের এক নেতার রক্তাক্ত মরদেহ। হাত বাঁধা অবস্থায় পাওয়া মরদেহটির শরীরে ছুরির তিনটি আঘাত এবং শরীরের নানা অংশে জখম রয়েছে।

সোমবার সকালে কক্সবাজার শহরের হলিডের মোড় সংলগ্ন আবাসিক হোটেল সানমুনের দ্বিতীয় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষে মিলেছে এই মরদেহ। নিহতের নাম সাইফুদ্দিন। তিনি কক্সবাজার শহরের ঘোনার পাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত আনসার কমান্ডার আবুল বশরের ছেলে। তিনি কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সহ নানা ইউনিটের সাবেক ছাত্রনেতা ছিলেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, হোটেল কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধারের জন্য হোটেলে এসেছেন। হাত বাঁধা ছুরিকাঘাত সহ নানাভাবে জখম করে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত করা হয়েছে। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ সহ নানা উৎস থেকে হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার রেজাউল করিম জানান, বরিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে নিহত সহ ৩ জন এসে ২০৮ নম্বর কক্ষে উঠেন। সোমবার সকালে তার সন্ধানে আসেন তার বন্ধুরা। বন্ধুদের সাথে নিয়ে কক্ষটিতে গিয়ে দরজায় ধাক্কা দিলে খুলে যায়। খাটে রক্তাক্ত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। নিহতরা প্রায়শ হোটেলে এসে রুম নিয়ে থাকতেন।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, সাইফুদ্দিনের নিজের প্যান্টের বেল্ট দিয়ে হাত দুই টি বাঁধা রয়েছে। হাটু, পেট এবং পেটের পেছনে ৩টি ছুরিকাঘাত রয়েছে। রয়েছে আঘাতের নানা চিহ্নও। ইতোমধ্যে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে সাথে থাকাদের শনাক্ত করতে কাজ করতে পুলিশ। তিনি হত্যায় জড়িতদের দ্রুর গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তিনি জানান, কক্সবাজার শহর পর্যটন শহর। এই শহর এখন অনেক বেশি অনিরাপদ হয়ে গেছে। নিরাপদ শহর করতে তিনি পুলিশের প্রতি আহবান জানান।
নিহতের ভাই মহিউদ্দিন বলেন, ‘রাতে বড় ভাই বাড়িতে যাননি। ফোনও বন্ধ ছিল। ভাবি (নিহতের বউ) ভাইয়ের বন্ধুদের ফোন করে খবর নিতে থাকে। ভাইয়ের বন্ধু ইলিয়াস ভাইয়ের খোঁজে বিভিন্ন স্থানে খবর নিতে নিতে সানমুনে এসে কক্ষে মরদেহটি পান।
এদিকে, সাইফুদ্দিনের খুনিতে দ্রæত গ্রেপ্তারের দাবিতে কক্সবাজারে মিছিল করছে সাবেক ছাত্রনেতা সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন