বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন ও পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর কবরস্থানে সার্বক্ষণিক পুলিশি পাহারা রয়েছে। পুলিশ সেখানে কাউকে দাঁড়াতে বা কবর জিয়ারত করতে দিচ্ছে না।
১৫ আগস্ট বিকেল ৩টায় মাওলানা সাঈদীকে দাফন দেয়ার পরও দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ তার কবরের পাশে এসে জড়ো হতে থাকে এবং কবর জেয়ারত করতে থাকে। এরপর ১৬ আগস্ট রাত থেকে পুলিশ মাওলানা সাঈদীর কবরের পাশে অবস্থান নেয়। এরপর থেকে সেখানে কাউকে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই পুলিশ সেখানে অবস্থান নিয়ে আছে। একইসাথে মাওলানা সাঈদীর নিজ উপজেলা ইন্দুরকানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেও পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
শুক্রবার সকালে সরজমিনে সাঈদী ফাউন্ডেশনের সামনে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। জানতে চাইলে পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন ও পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। তিনি ২০১০ সাল থেকেই কারাগারে বন্দী ছিলেন। ১৩ আগস্ট রোববার বিকেলে বুকে ব্যথা অনুভব হওয়ায় প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হাসপাতালে, পরে রাতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ আগস্ট সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন।