রামু কলেজের কর্মচারী ও কম্পিউটার অপারেটর মিজানুল হকের বিরুদ্ধে স্বজন প্রীতি ও নানা দূর্নীতিসহ ভর্তি বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। যার কারনে শত শত শিক্ষার্থী পেইজবুক পেইজ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই মিজানের দূর্নীতির বিরুদ্ধে পোষ্ট, কমেন্ট দিয়ে আপেত্তি জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, অফিস সহকারী মিজানুল হক, তার ভাই মুর্শেদুল হককে দিয়ে রামু কলেজের সামনে এমএফ কম্পিউটার নামক একটি কম্পিউটারের দোকান দিয়ে, রামু কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম অবৈধভাবে ওখান থেকে প্ররিচালনা করা হয়। সম্প্রতি রামু কলেজের বিএম শাখার ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার খবরে, অভিযোক্ত মিজান তার ভাই মূর্শেদকে দিয়ে ভর্তিকার্যক্রমের ২০ দিন আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে থেকে ১৫শ থেকে-১৮শ, টাকা করে নিয়ে ওই মিজান নিজে সিট কনফার্ম করবে বলে, মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। যারা ওই মিজান ও মূর্শেদ সেন্ডিকেটকে নগদ টাকা দিয়েছে তারাই কলেজের বিএম শাখায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। বাকি শিক্ষার্থীরা কলেজের ওই শাখায় ভর্তির সুযোগ পায়নি বলে জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হুমায়ন বিন কাসেম নামের একজন তার পেইজবুকে জানিয়েছেন, ‘একদম সত্যি ঘঠনা,আমি যখন ১০ তারিখ সকাল ১০ টায় আমার ছোট ভাইয়ের জন্য আবেদন করতে গেছি, কর্তৃপক্ষ বললো সিট নাই। এখন কথা হলো আবেদনের শেষ তারিখের আগে কেন সিট শেষ হলো।? যারা ভালো রেজাল্ট করছে তাদের এডমিশনের কি দরকার নাই।?
জানা গেছে, পূর্ব নির্ধারিত সময় গেল ১০ তারিখ বৃস্হপতিবার আবেদন শুরু হয়ে, ২ ঘন্টার মধ্যে ফুল সিট কনফার্ম হয়েছে বলে আবেদন কার্যক্রম বন্ধ করে দে। অনেকে বলেছেন, অফিস সহকারী ওই মিজানই এসব অবৈধ কার্যক্রমের নাটের গুরু। অনেক শিক্ষার্থী হতাশ হয়ে বলেছেন, যারা আবেদন এর সময় সম্পর্কে জানে নাই বা খবর পায়নি তাদের কি হবে? সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে এভাবে ১৫/১৮ শ, টাকা হাতি নেওয়ার কোন মানে হয় না বলে অভিযোগ করেন কলেজ ছাত্রলীগ।
রামু কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক মুবিনুল হাসান নয়ন এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে, অভিযোক্ত মিজানুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি দৈনিক কক্সবাজার সংবাদ কে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি এসবের সাথে জড়িত নয়। তার ভাই মূর্শেদের সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই। তিনি ভাড়া বাসায় থাকেন। তার ভাইয়ের কোন অপকর্মের দায় সে নিবে না বলে জানান।
রামু কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, এসব অপকর্মের সাথে কেউ জড়িত থাকলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। আর কলেজের বাইরে যদি মিজানের ভাই মূর্শেদ জড়িত থাকে তাহলে তার দায়ভার তিনি নেবেন না।