বেড়িবাঁধ হলো না জাজিরার বড় কান্দি ইউনিয়নের নদীভাঙ্গন কবলিত এলাকা।– নুর মোহাম্মদ কাকা।
সরকার কর্তৃক উন্নয়নের ছোঁয়া নেই জাজিরা বড়কান্দি ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন অসহায় মানুষের বসত বাড়ি ও কৃষিজমিতে।।
শরিওতপুরের পদ্মাসেতুর দক্ষিণ পার হইতে নড়িয়া পর্যন্ত টেকসই বেড়িবাঁধ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তুু নড়িয়া ও পদ্মাসেতুর পারস্থ এলাকায় বেড়িবাঁধ হলো,
বেড়িবাঁধ হলো না জাজিরার বড় কান্দি ইউনিয়নের নদিভাঙ্গন কবলিত এলাকা।
অত্র ইউনিয়নের নদীভাঙ্গন কবলিত মানুষ দিনের পর দিন বাপদাদার ভিটে মাটি, কৃষি জমিজমা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে এখন অসহায় জীবন যাপন করছে।
সর্বশেষ ৬-৫-২০২৩ ইং তারিখে স্থানীয় জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় সভার আলোচনা করেন মাননীয় পানি সম্পদ উপমন্ত্রী জনাব,এ কে এম এনামুল হক শামীম ও পরিকল্পনা সচিব মহোদয়। আলোচনা সভায় উপমন্ত্রী ও সচিব মহোদয় বলেন আমরা আগামী দুই মাসের মধ্যে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করবো।
উক্ত আলোচনায় জাজিরা উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোবারক আলী শিকদার এবং বড় কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউদ্দিন আহমেদ খলিফা জোরালো কন্ঠে বলেন, আমার ইউনিয়নের জমি জমা ভাঙ্গছে নদীতে,-নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। নদীর স্রোতে ভেসে যাচ্ছে বসত ভিটা। পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে তীরবর্তী জাজিরা ও বড় কান্দি ইউনিয়নের শত শত ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের কৃষকরা বসত ভিটা ও রুটি রোজগারের কৃষিজমি-জমা হারিয়ে ১০-১২ হাজারেরও বেশি পরিবার সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছে।।
শরীয়তপুর জেলার জাজিরার বড়কান্দির প্রায় এক লাখ মানুষ এখন নদী ভাঙ্গনের কারণে সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে। পরিশেষে নদী ভাঙ্গনরোধ করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জোরাল দাবি করেন।।
পদ্মা নদীর পারস্থ প্রান্তিক কৃষকদের ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের স্বপ্ন কি? এমন প্রশ্নের জবাবে জননেতা কে এম লুৎফর রহমান বলেন,,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের দেশ-বাসীকে যেমনি ভাবে পদ্মাসেতু উপহার দিয়েছেন, ঠিক তেমনি ভাবে এই অঞ্চলের মানুষগুলোর স্বপ্ন “টেকসই বেড়িবাঁধ” নির্মাণ করে আমাদের বসত ভিটা ও কৃষিজমির সুরক্ষা করবেন বলে সকলের স্বপ্ন এবং প্রাণের দাবি।।