টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ওমর হাকিমের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অপতৎপরতা যেন একটি নৈরাজ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এলাকায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা সম্রাট ওমর হাকিম মেম্বার ও তার ছোট ভাই ইয়াবা শামশু তাদের ইয়াবা সিন্ডিকেট এবং সন্ত্রাসী বাহিনীর অপকর্মে অস্থির এখন এলাকাবাসী।
গত তিন দিন আগে ও ওমর হাকিম বাহিনীর একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ পুলিশের হাত থেকে গ্রেফতারকৃত ইয়াবা শামসুকে কেড়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপকভাবে আক্রমণ করে ধারালো দা অস্ত্র দিয়ে, সাগর পথে মিয়ানমার হতে ইয়াবার মোটা চালান আনতে ওমর হাকিম মেম্বার তিনটি ফিশিং ট্রলার ব্যবহার করছে বলে এলাকায় সচেতন মহল অভিযোগ করছেন।
এই সব ইয়াবা চালানের ব্যাপারে কেউ মুখ খুললে
তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ইয়াবা সিন্ডিকেট।তারইসূত্র ধরে গত কয়েক মাস আগে স্থানীয় মিঠাপানির ছড়া গ্রামের ছৈয়দ আহমদের উপর চালায় অমানবিক নির্যাতন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রান নাশের জন্য অমানবিক আক্রমণ করে ছৈয়দ আহমদেকে।
শনিবার রাত আনুমানিক ৮ টার সময় মিঠাপানির ছড়ার বড় মাদ্রাসায় সামনে ছৈয়দ আহমদের দুই পুত্রকে মেরে ফেলার জন্য হামলা চালিয়ে একজনের আঙ্গুল ও অপরজনের শরীর রক্তাক্ত করে ফেলে সন্ত্রাসী ইয়াবা সম্রাট ওমর হাকিম মেম্বার ও তার সহযোগীরা।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার হতে ইয়াবার চালান সাগর পথে নিরাপদে ইয়াবা আনতে স্থানীয় দরগাছ ছড়া সমুদ্র ঘাট ও মিঠাপানির ছড়া ঘাটে ওমর হাকিম তিনটি ফিশিং বোট রয়েছে। এই সব দেখভাল করার জন্য ৩০জনেরই বেশি রোহিঙ্গা পাহাড়ের কিনারায় বাসা তৈরি করে দিয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি,, টেকনাফের আলোচিত কুখ্যাত ডাকাত রোহিঙ্গা আব্দুল হাকিমের সাথে ও উক্ত সিন্ডিকেট সম্পৃক্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যাক্তির বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলা যাবেনা বলে জানিয়ে দেন এবং সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।