পেকুয়ায় অতিবৃষ্টি ও বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবন, দুর্ভোগ
মোঃ নাজিম উদ্দিন (কুতুবী) পেকুয়া প্রতিনিধি,
কক্সবাজারের পেকুয়ায় অতিবৃষ্টি ও বেড়িবাঁধে ভাঙনের ফলে বিস্তীর্ণ লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। এদিকে দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার দুপুরে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাতামুহুরি নদীর পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে ঢলের পানি ঢুকছে। এতে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা, বাঘগুজারা, চৈরভাঙা, হরিণাফাঁড়িসহ বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে গেছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে ওইসব এলাকার মানুষ নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নাছির উদ্দীন বলেন, সোমবার সকালে ঢলের পানির চাপে রাবার ড্যামের পূর্বদিকের বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। ঢলের পানি থেকে ফসল ও গৃহপালিত পশু রক্ষায় সকাল থেকে মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সোমবার বিকেলের মধ্যে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। কোথাও কোথাও নৌকা চললেও তার ভাড়া অত্যন্ত চড়া।
শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, মেহেরনামা থেকে ঢলের পানি নদী নালা বেয়ে ও সড়ক উপচে শিলখালী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করেছে। অতিবৃষ্টি ফলে এ প্লাবন জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়েছে। জলাবদ্ধতায় আটকে পড়া মানুষদের শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া টানা বৃষ্টির ফলে পাহাড় ধ্বসের আশংকায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পেকুয়া ও শিলখালী ইউনিয়ন ছাড়াও উপজেলার অপর পাঁচ ইউনিয়নে অতিবৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার প্রায় সকল চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে। এতে মৎস্য চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। উপজেলার অন্তত দশ হাজার বাড়িঘর, মসজিদ মাদ্রাসা ও স্কুল পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রায় এক হাজার কাঁচা ও আধাকাঁচা বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তলিয়ে গিয়ে ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।তিনি আরও বলেন”উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দুর্গত লোকজনকে শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। মাতামুহুরি নদীতে ঢলের চাপ কমলে ভাঙা বেড়িবাঁধ দ্রুত সংস্কার করা হবে”