• শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজারে পাহাড় ধস : পৃথক ঘটনায় মা-শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু বৃষ্টি বিপর্যস্ত কক্সবাজার,হোটেল কক্ষে বন্দি পর্যটকরা; পাহাড় ধসে দুই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু এখন থেকে কক্সবাজারে কোনো পুলিশকে ঘুষ দিতে হবে না: নবনিযুক্ত এসপি কুতুবদিয়ার শীর্ষ ডাকাত শাহরিয়া অস্ত্র সহ আটক ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবীতে কক্সবাজার সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্মারকলিপি প্রদান হুইপ কমলের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার না করার দাবী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় স্বর্ণপদকসহ চার সাংবাদিককে সম্মাননা দিবে বনেক ত্রিশালে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ওপর হামলা কক্সবাজারের নতুন ডিসি সালাউদ্দিন আহমেদ বন্যার্তদের সেবায় নিঃস্বার্থ পেশাগত দায়িত্ব ও মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দুই সেনা  সদস্যের সাথে সাক্ষাৎ করলেন সেনাবাহিনী প্রধান

বঙ্গবন্ধু মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরের ইতিহাস

ফরিদুল মোস্তফা খান:
আপডেট : সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩

বঙ্গবন্ধু মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরের ইতিহাস।
তিনি শুধু বাংলার নেতা নন।তিনি বিশ্ব নেতা,মানবতার নেতা।
যার জন্ম না হলে আজও আমরা সেই পরাধীনতার কঠিন শিকল থেকে মুক্ত হতে পারতাম কি না সন্দেহ রয়েছে।
নিজেদের পেট আর পিট,রাজনৈতিক ক্ষমতা আরাম আয়েশ ভোগ বিলাশে উম্মাদ কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক ক্ষনজন্মা এই বীর পুরুষ বঙ্গবন্ধু বর্তমান এবং অনাগত তারুণ্যের-পথপ্রদর্শক।

স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও সক্রিয়। তারা চুপ করে বসে নেই। তারা সুযোগ পেলেই অতীতের মতো ইতিহাস বিকৃত করবে। বঙ্গবন্ধুকে এখনও তারা ভীষণ ভয় পায়। তারা সদাসর্বদা চেষ্টা করবে বঙ্গবন্ধুর কীর্তিকে ম্লান করতে; অথচ বঙ্গবন্ধুর কীর্তিই বাঙালি জাতিকে সারা বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন করেছে এবং তার কীর্তিই আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছে, বুক ফুলিয়ে কথা বলার অধিকার দিয়েছে, শির উঁচু করে চলার সুযোগ করে দিয়েছে।
শেখ মুজিবুর রহমান। এটি শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস। বাংলাদেশের ইতিহাস। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই জাতিকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন। ইতিহাস পড়ে জানা গেছে, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেয়া ‘রাখাল রাজা অকুতোভয় শেখ মুজিব অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে, জীবনের মূল্যবান সময় জেলহাজতে থেকে, পরিবার-পরিজনের মায়া-মমতা থেকে বিচ্ছিন্ন জীবন কাটিয়ে শত দুঃখ-দুর্দশার মধ্যেও পাকিস্তানি শাসক-শোষকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বাঙালিদের জন্য ‘বাংলাদেশ’ নামে একটি দেশ এনে দিয়েছেন।

২৫ মার্চ থেকে শুরু করে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হলো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বাধীনতা। শেখ মুজিব হয়ে উঠলেন স্বাধীন বাংলাদেশের পিতা। মহান এ পুরুষকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন, তার আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করা, প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে তার নীতি-আদর্শ সঠিকভাবে পৌঁছে দেয়া বর্তমান প্রজন্মের কথিত আ’লীগ নেতা কর্মী দালাল চাটুকার সুবিধাভোগী নেতা কর্মীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ও আত্মী-পরিজনসহ হত্যা করা হয়। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ইতিহাস মানে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস। তার জীবন ইতিহাসের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস জড়িত। এই মহান মানুষটি জীবনে যা-ই করেছেন তার সবই দেশের জন্য করেছেন। দেশের স্বার্থেই ছিল তার প্রতিটি পদক্ষেপ। তার জন্ম না হলে আজ আমরা স্বাধীনতা পেতাম কিনা আমার মাথায় আসছেনা।

বাংলাদেশের বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে এক সুমহান আদর্শের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বর্তমান প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর অসীম সাহসিকতা, অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলি, প্রজ্ঞা আর দূরদর্শিতায় দীক্ষিত। তারুণ্যের কাছে তিনি গৌরব ও অহংকারের। বঙ্গবন্ধুর কর্ম, জীবন ও আদর্শ তরুণদের অনুপ্রাণিত করছে। জাতির পিতার আদর্শ, দর্শন ও কর্মচিন্তা আমাদের চলার পথের পাথেয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নই সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।

বঙ্গবন্ধুর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, তার বাগ্মিতা, মানুষের প্রতি স্বার্থহীন ভালোবাসা, সাহসিকতা প্রভৃতি গুণাবলি তরুণদেরকে সহজেই আকৃষ্ট করে। তরুণদের সঙ্গে একটা অন্তরের সম্পর্ক ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনি তাদের সংগ্রামের বাণী দিতেন, রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সক্রিয়তায় উৎসাহিত করতেন, শিক্ষা এবং শিক্ষার আদর্শগুলো নিজেদের জীবনে ধারণ করার জন্য অনুপ্রাণিত করতেন। তার কীর্তি আর মহত্ত্ব প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে, তরুণ মনে সাহস জোগাবে, তারই প্রতিষ্ঠিত দেশকে উন্নয়নের ছোঁয়ায় বিশ্বপরিমণ্ডলে সম্মানজনক আসনে অধিষ্ঠিত করবে।

প্রতিপক্ষের শত ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচক অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে সামগ্রিকতায় আজ ইতিবাচক অগ্রগতির দিকে ধাবমান হচ্ছে তারই সুযোগ্য কন্যা ইতিহাসের আরেক মহিয়সী নারী প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব নেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। তরুণদের ভাবনায় সারাক্ষণ যার বিচরণ ছিলন তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন বাংলার প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ে।

বর্তমান তরুণ সমাজ বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে প্রেরণা নিতে পারে যে, যতই বাধা আসুক, নিয়ত যদি হয় সৎ এবং উদ্দেশ্য হয় যদি মহৎ তাহলে সফলতা অর্জন করা অসম্ভব নয়।

বঙ্গবন্ধু তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে লিখেছেন-

“একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এ নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।”
ভুলে গেলে নিমকহারামী হবে বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সক্রিয়তায় উৎসাহিত করতেন, শিক্ষা এবং শিক্ষার আদর্শগুলো নিজেদের জীবনে ধারণ করার জন্য অনুপ্রাণিত করতেন। তরুণদের তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে, অসত্য, অর্ধসত্যকে প্রত্যাখ্যান করতে, বঞ্চনা-অনাচার এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে উদ্দীপনা জোগাতেন। তিনি চাইতেন বাঙালি তরুণ যুগের আদর্শগুলো ধরে রেখে বিশ্বমানব হোক।

বর্তমান তরুণদের মনে রাখা দরকার, বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা থেকে শুরু করে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পূর্ব দিন পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছেন বাংলার মানুষ একতাবদ্ধ থাকবে। সুন্দরভাবে হাসি-খুশিতে জীবনযাপন করবে। বর্তমান প্রজন্ম চেষ্টা করবে জাতির পিতার এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে। বঙ্গবন্ধু নিজেও বিশ্বাস করতেন তরুণরাই দেশের মূল চালক।

তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য নিয়ে বর্তমান প্রজন্মকে এক হতে হবে এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসা সার্থক হবে। শোকাবহ আগস্ট। পেছন ফিরে বঙ্গবন্ধুকে দেখি আর তার অমর বাণী শুনি। তার কথাগুলো এখন তরুণেরা শুনছে, পড়ছে। তারা অনুপ্রাণিত হচ্ছে। তারা যে বাংলাদেশ চায়, বঙ্গবন্ধুও সেই দেশটি চেয়েছিলেন এবং তার একটি বর্ণনা তিনি দিয়েছিলেন, ‘সোনার বাংলা।’

তরুণরাই দেশের মূল চালিকাশক্তি। তরুণসমাজের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুপ্রেরণার নাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তরুণ প্রজন্মের কাছে মহান আদর্শ ব্যক্তিত্ব। তরুণদের কাছে তিনি একাধারে একজন উদার ব্যক্তিত্ব, সফল রাজনীতিবিদ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূর্ত প্রতীক।
– লেখক দৈনিক কক্সবাজারবাণীর সম্পাদক ও প্রকাশক কারা নির্যাতিত মজলুম সাংবাদিক।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন

ই-পেপার