মাদক তল্লাসীর নামে পুলিশ পরিচয়ে যত্রতত্র গাড়ী থামিয়ে মানুষের জীবন এবং সম্মান অনিশ্চিত করে তুলেছে সশস্ত্র কিছু মাদকাসক্ত কিশোর। কখনো থানা, পুলিশ ফাড়ি, হাইওয়ে, বা ডিবি পরিচয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা এলাকাভিত্তিক এই বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে এখন কক্সবাজার চটগ্রাম ঢাকা মহাসড়ক।
দিনের বেলা যেমন তেমন রাতের সাথে পাল্লা দিয়ে ফজরের আগ পর্যন্ত মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহন গুলোতে চলে এদের বেপরোয়া কর্মকান্ড। ফলে এই মহাসড়কের আশেপাশে খুন গুম মুক্তিপন,মাদকে ফাঁসিয়ে দেওয়া,ভদ্রমহিলাদের সম্ভ্রম হানীর মহোৎসব চলছে দীর্ঘদিন ধরে।
কোন প্রকার ইউনিফর্ম ছাড়াই মানুষের জান মাল সম্মান নিয়ে চিনি মিনি খেলায় লিপ্ত চক্রটির কারনে বিরুপ প্রভাব পড়েছে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে।
দিন দিন কমে আসছে পর্যটক।
জানা গেছে পর্যটনে অমিত সম্ভাবনাময় এই মহাসড়কে,দীর্ঘদিন ধরে বীরদর্পে ধান্দাসহ হরেক অপকর্মে লিপ্ত এসব মাদকাসক্তদের প্রধান টার্গেট বিত্তশালী যাত্রী।
প্রতিপক্ষের কনট্রাকে তারা নীরহ যাত্রীদের সর্বস্ব লুট,মারধর,মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দিয়ে ক্ষান্ত হননা, পরিস্থিতি বুঝে গাড়ী থেকে নামিয়ে অনেককে খুন,গুম,মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
সুত্র জানায়, চক্রটি ইতোপূর্বে অনেককে ধরে নিয়ে লাশটি পর্যন্ত স্বজনদের মাঝে ফেরত দেয়নি,এরকম অহরহ নজীর আছে।
অতএব এব্যাপারে প্রয়োজনীয় তদন্তপুর্বক কার্যকর ব্যাবস্থা নিতে সকল গোয়েন্দা সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।
তারা বলেছেন,মাদক তল্লাসির নামে পুলিশ পরিচয়ে কোন এলাকাভিত্তিক কোন ডাকাতদল সুযোগ নিয়ে সরকারও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা দরকার।
এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের কার্যকর ভুমিকা এবং জনসচেতনতা এখন সময়ের দাবী।
আপাতত প্রতিকারের প্রাথমিক
.. উপায় :
জনসচেতনতা,একা চলাফেরা না করা,পাশাপাশি সিটে না বসে একেকজন একেক সিটে বসে আসা যাওয়া করা,প্রত্যেক যানবাহনে সিসি ক্যামরা বসানো।