চাকুরী জীবনের প্রথম দিন থেকে অপরাধ ও অপরাধীদের মূর্তমান আতংক কক্সবাজারের সাবেক সফল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বর্তমানে চটগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি নুরে আলম মিনা।
তিনি ১৯৭৬ সালে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানীতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ হতে বিএসএস (সম্মান) ও এমএসএস সমাপ্ত করে ২০তম বিসিএসের মাধ্যমে ২০০১ সালে বাংলাদেশ পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার পদে যোগদান করেন।
২০১৩ সালের ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি সুনামগঞ্জ জেলায় এবং ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত সিলেট জেলার পুলিশ সুপার পদে ছিলেন। এরপর চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার থেকে পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় ঢাকায় অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে সদা হাস্সোজ্জল ও পরোপকারী চৌকস এই পুলিশ কর্মকর্তা পরবর্তীতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে যোগ দেন।
তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর দারফুর, সুদান মিশনে দায়িত্ব পালনকালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদকপ্রাপ্ত হন। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ‘বেস্ট-ইন-একাডেমিক্স’ পদকে ভূষিত হন মিনা।
বাংলাদেশ পুলিশে তার অসাধারণ দায়িত্ব পালনের জন্য ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা, ২০১৪ সালে ‘আইজিপি ব্যাজ’ এবং ২০১৮ সালে জঙ্গি দমনে অসীম সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)- সাহসিকতা পদক লাভ করেন। ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজারবাগ প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সেবা, কর্মদক্ষতা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ পদক গ্রহণ করেন।
চাকরি জীবনে তিনি দেশে বাস্তব প্রশিক্ষণ ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এছাড়াও মালয়েশিয়ায় কুয়ালালামপুরে রয়েল মালয়েশিয়ান পুলিশ কলেজ থেকে ‘ব্যাসিক কমার্শিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন কোর্স’ সম্পন্ন করেন।
পারিবারিক জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই কন্যা ও এক ছেলে সন্তানের জনক।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আপসহীন নুরে আলম মিনা মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। জনবান্ধব সেবামুখী পুলিশিং নিশ্চিতকরণে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে জোরদার করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আর্তমানবতার সেবায় উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। প্রবাসে কর্মরত চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দাদের পুলিশি সহায়তার জন্য তিনি চালু করেছেন ‘প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক’। যা সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।