টেকনাফে মাদক মামলার আসামি আটক করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজিবি’র ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে পরস্পরবিরোধী অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় মোহাম্মদ রফিক নামের এক রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
বুধবার (২ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রফিক হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন বলেন, লেদা এলাকায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ জাফর আলম নামে তালিকাভুক্ত এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
এ সময় দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা বিজিবির ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় হতাহত রয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সকালে লেদা তল্লাশি চৌকিতে জাফর আলম নামে একজনকে বিজিবি সদস্যরা আটক করেন। এ সময় জাফর আলমের প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে কেন তাকে আটক করা হয়েছে তা জানতে চায়। একপর্যায়ে ঘটনাটি বাকবিতণ্ডায় রূপ নেয়। পরে বিজিবি সদস্যরা গুলি ছুঁড়তে শুরু করলে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। এ সময় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর হুদা বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে জাফর আলমকে লেদা বাজার থেকে বিজিবির সদস্যরা আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় তার আত্মীয়-স্বজনসহ স্থানীয়রা বাঁধা দেন। এ সময় জাফরের স্বজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষ শুরু হয়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবির সদস্যরা গুলি ছুঁড়েছে। এতে রফিক নামে এক রোহিঙ্গা নিহত এবং বিজিবির এক সদস্যসহ প্রায় ৫-৬ জন আহত হয়েছেন।
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ব্যক্তিগত কাজে বর্তমানে ঢাকায় রয়েছি। তবে ঘটনাটি শুনেছি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হওয়ার খবর শুনেছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, হ্নীলার লেদা বাজারে বিজিবির সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়েছে শুনেছি। তবে কী কারণে ঘটনা ঘটেছে তা বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
এদিকে ঘটনার পর বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকজন ব্যাক্তি এটিকে নিরস্ত্র মানুষের উপর সশস্ত্র বাহিনীর নির্বিচারে গুলিবর্ষন বলে দাবী করে পুরো ঘটনাটি বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।