• রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর
ফরিদুল মোস্তফার ৬ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই বিএমএসএফভুলন্ঠিত মানবতা বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে ৬ বছরেরও প্রত্যাহার হয়নি নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুলের ৬ মিথ্যা মামলা, পুলিশী ষড়যন্ত্রে আটকে আছে পাসপোর্টআমার বিরুদ্ধে করা নিউজ শত্রুদের সিন্ডিকেট প্রচারণা-প্রতিবাদ- ব্যাখ্যায় মনিরআওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধবিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধডিএইচ কে-কেএনএইচ-বিএমজেট প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর এসাইনমেন্ট অফিসারউখিয়া ও টেকনাফের গহীন পাহাড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান: বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারইয়ুথ চেইঞ্জ এজেন্টদের অংশগ্রহণে নাগরিক সাংবাদিকতা ও প্রচারণা প্রশিক্ষণ সম্পন্নউখিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশপ্রেমের ফাঁদে ফেলে আপত্তিকর দৃশ্য ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করেন জায়ান বাবু

তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকার!

কক্সবাজারবানী’র সাথে থাকুন
আপডেট : রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০২৩

সম্পাদকীয়
তরুন প্রজন্মের ভবিষ্যত অন্ধকার!

তরুণ প্রজন্ম একটি দেশের বড় সম্পদ।

ফরিদুল মোস্তাফা খান
অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষার স্বপ্ন থাকে তাদের নিয়ে। যারা এই সম্পদ যত বেশি ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে, জাতি হিসেবে তারা তত বেশি সফলতা লাভ করে। তাই দেশের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই তরুণ সমাজের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হয়। তারা যে চিন্তা ও মনন নিয়ে বেড়ে উঠছে সেটিই একদিন জাতীয় চরিত্র হয়ে দাঁড়াবে।

সচেতন নাগরিক হিসেবে কারোই অজানা নয়, জাতীয় চরিত্রের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনে তরুণ সমাজই মুখ্য ভূমিকা রাখতে হয়। তারুণ্যের শক্তিই পারে সব অপশক্তিকে দুমড়েমুচড়ে নব যুগের সূচনা করতে। এ কারণে যুগে যুগে মানুষের মুখে ধ্বনিত হয় তারুণ্যের জয়গান। প্রয়োজন শুধু সময়ের সাহসী সিদ্ধান্ত; রাষ্ট্রের সঠিক কর্মপরিকল্পনা ও স্বপ্ন জাগানিয়ে মানুষ। যে এক হাতে সত্যের মশাল ধরে, অন্য হাতে মানবতার জয়গান গেয়ে সিংহের মতো গর্জন তুলে অসত্যের বিরুদ্ধে লড়ে যাবে। তবেই মুক্তি মিলবে মানুষের। সৃষ্টি হবে নব জাগরণ।

বহমান নষ্ট সময়ে জাতি শঙ্কিত। বিবেক স্তব্ধ। মানবতা শিকলবন্দী। চার দিকে অসত্যের ছড়াছড়ি। চলছে পেশিশক্তির দৌরাত্ম্য। এসব নিয়ে খুব একটা ভাবনা নেই কারো। পত্রিকায় রঙিন পাতায় যখন কোনো নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ছবি চোখে পড়ে মনটা ভারাক্রান্ত হয়, পরদিন যখন এর চেয়ে পৈশাচিক কোনো ঘটনায় চোখ আটকে যায়, তখন আগের দিনের ঘটনাটি মামুলি বলে মনে হতে থাকে। এভাবে একদিন কোনো ঘটনাই আর হৃদয়ে দাগ কাটে না। অপরাধের সাথে বাস করতে করতে মানুষ একদিন অপরাধকে স্বাভাবিক বলে মেনে নেয়। এই স্বাভাবিকতাই তাকে বিপদের মুখে দাঁড় করায়।

অপরাধীরা সংখ্যায় কম হলেও তারা সুসংগঠিত। অথচ ভালো মানুষের কোনো একতা নেই। শুধু এসব কারণেই অন্যায়ের হাতে ন্যায় পরাজিত। প্রতিবাদী মানুষগুলো মূক ও বধির হয়ে গেছে। হারিয়ে ফেলেছে প্রতিবাদের ভাষা। যে সত্য সময়ের প্রয়োজনে হুঙ্কার তুলতে পারে না, সে সত্য মানুষের কোনো কাজে আসে না। আমাদের সমাজের মানুষগুলোর মধ্যে এই স্বার্থপরতা আছে বলেই অসৎ মানুষগুলো পার পেয়ে যাচ্ছে। মানুষের সর্বনাশ করেও দাঁত উঁচিয়ে হাসতে পারছে।

এরূপ সত্যবাদীরাই এখন ধ্বংসের প্রতিচ্ছবি হয়ে সমাজের গায়ে আষ্টেপৃষ্ঠে লেগে আছে। মানবতার হাহাকার উপেক্ষা করে নিজেদের ভদ্র পরিচয় দিয়ে এরা সুখ পায়। আজিব এই ভদ্র সমাজে মুখোশধারী মানুষগুলো! ভদ্রতার এই ভণ্ডামি নিয়ে কত অহঙ্কার তাদের! সমাজের সবাই যেমন প্রতিবাদ করে না এটি যেমন ঠিক, তেমনি সবাই মুখ বুজে সব নীরবে সহ্যও করে না। তাহলে সেই সমাজ আর মানবতার সমাজ থাকে না। তাহলে কি আমরা অমানবিকতার দিকে এগিয়ে চলেছি?

যে সমাজের স্বীকৃত বখাটে, সে কাউকে পেটায়, কাউকে মারে, কাউকে দেয় জীবন নাশের হুমকি। লোকের আকর্ষণ তার দিকে। অনেকে তাকে দলে ভেড়াতে চায়। একসময় কারো আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে সে একটি সামাজিক অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়। এই হলো যার বড় হয়ে ওঠার কাহিনী, সে দেশ ও জাতির কল্যাণে কী আর অবদান রাখবে।

ভদ্ররা এসব মুখ বুজে সহ্য করে। কারণ তারা ভদ্র। একদিন সে আর মুখ খুলতে পারে না। যেদিন তার শক্তি ছিল, সামর্থ্য ছিল, চাইলে কথা বলতে পারত, তখন অন্যায়কে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছে। কারণ সে নিজেকে কোনো ঝামেলায় জড়াতে চায় না।

আজ পল্লীগাঁয়ে সমাজের এই নব পরিবর্তন যে হারে বেড়ে চলেছে, তা হয়তো অচিরেই বড় অশুভ পরিণতি নিয়ে আসবে। সন্ত্রাসীর পরিচয় সন্ত্রাসী। কর্তৃত্বের জায়গায় সে আসন করে নিতে পারলে সেখানেও সে সন্ত্রাস ছড়াবে। দেশের আনাচে-কানাচে সন্ত্রাসের বীজ গজিয়ে উঠতে শুরু করেছে।

এদেরই দৌরাত্ম্যে পাড়াগাঁয়ের সামাজিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে বসেছে। তরুণ সমাজকে তারা নেশায় বুঁদ করে রেখেছে। স্কুলপড়ুয়া থেকে শুরু করে সর্বস্তরে এই অশান্তি তারা ছড়িয়ে দিয়েছে। সংসারের শান্তি বিনষ্ট করছে। সম্ভাবনাময় মেধাবী মুখগুলো ভুল পথে পা বাড়াচ্ছে। কোথাও কোথাও প্রকাশ্য দিবালোকে চলছে এসব। একদল অসৎ মানুষের ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠছে এরা। এই আগাছাকে ছেঁটে সমাজকে পরিচ্ছন্ন করা প্রয়োজন, নইলে এরাই একদিন সমাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। হারিয়ে যাবে সম্ভাবনাময় হাজারও তরুণ।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন