চকরিয়ার ভন্ড বৈদ্য বাপ্পির খপ্পরে সাধারণ জনগণ,
টাকা ফেরত চান প্রতারণার স্বীকার সাধারণ মানুষ।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন সাহেব পাড়ার এলাকার মরহুম আলী আহমেদের পুত্র মোর্শেদুল আলম ওরফে ভন্ড বাপ্পি বৈদ্য নামে এক ভন্ড বৈদ্য প্রতিদিন প্রতারণার মাধ্যমে ঝারফোক-তাবিজ-টোনা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। গত কয়েক বছর ধরে চালিয়ে আসছে এসব বৈদ্যালি প্রতারণ। স্থানীয় জনতা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রতারণার স্বীকার, রুহেনা , মজিদ, অজুফা বেগম, খালেদা, ছেনুয়ারা বেগম,জুলিয়া আক্তার আনোয়ারা বেগমসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন,এক সময়ের কাঠমিস্ত্রী অক্ষরজ্ঞানহীন বাপ্পি নিজেকে স্বপ্নেপ্রাপ্ত বড় পীর-বৈদ্য পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সোর্স মারফতে আমাদের গ্রামে আসে,আমাদের সহ লোকজনের কাছ থেকে সর্বরোগের ওষুধ দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
ভন্ড বৈদ্য বাপ্পির আবির্ভাব ঘটার পর থেকে তার কাছে গিয়ে প্রতিনিয়তই প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এলাকার কতিপয় প্রভাবশালীদের ছাত্র-ছায়ায় এবং নাম ভাঙ্গিয়ে বৈদ্যালির নামে চালাচ্ছে এসব অপকর্ম। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান ধরেছে। প্রতারক ও ভন্ড বৈদ্য বাপ্পি পবিত্র কোরআন শরীফকে অজুবিহীন ও অপবিত্র অবস্থায় হাতে ধরে নানাভাবে অবমাননা করে চলছে।
তার বিরুদ্ধে রয়েছে তার কাছে আসা যুবতী নারীদের ঝাড়পোকের নামে গোপানাঙ্গে হাত দেয়াসহ শ্লীলতাহানীর অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, ভন্ড বাপ্পি বৈদ্য কোরআন শরীফের পৃষ্টা ও বিভিন্ন মৌলভীদের কাছ থেকে কাগজে আরবি লিখে নিয়ে তা হাজার হাজার কপি ফটোস্ট্যাট করে তাবিজের নামে বিপুল অর্থে বিক্রি করছে। সাথে দেওয়া হচ্ছে পানি ও তেল পড়া।
ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান, বিগত কয়েক বছর পূর্বে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ৩-৪ জন ভন্ড বৈদ্যকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। এর পর থেকে ভন্ড বৈদ্যরা পালিয়ে যায়। বর্তমানে পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের সাহেব পাড়া এলাকায় প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ভন্ড বাপ্পি বৈদ্যের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বাপ্পি ও তার সহযোগিদের গ্রেপ্তার করলে সাধারণ মানুষ প্রতারণা থেকে পরিত্রাণ পাবে।
এবিষয়ে পূর্ব বড়ভেওলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্না, বলেন, বাপ্পি বৈদ্য বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্হানীয়রা বলেন দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব বড় ভেওলা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বৈদ্যালির নামে প্রতারণার হাট বসিয়েছে।অনেক মানুষ তার কাছে বৈদ্যালি সেবা নিতে এসে নি:স্ব হয়ে বাড়ি ফিরছে। প্রতি রোগির কাছ থেকে ৫শ, ১ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হজার টাকা পযর্ন্ত। বিশেষ করে সাপ্তাহের বিশেষ দিনে বেশি রোগি আসে। বিভিন্ন স্থানে তার দেয়া অনেক ধরণের সোর্স রয়েছে। সেসব সোর্স দিয়ে ভন্ডামীর মাধ্যমে বিপুল আর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানিয়েছেন,ভন্ড বৈদ্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাইলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।