এক সময়ের অবহেলিত জায়গা রামু- নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অন্তর্গত ঈদগড়- বাইশারী। যেখানে মানুষ বাস করতো ভয়ভীতির রাজ্যে,।যেখানে ছিলো প্রতিনিয়ত ডাকাত,অপহরন,গুম খুনের অভয়ারন্য,কোন রকম অসহায় হয়ে পশুর রাজ্যে বসবাস করতো তারা,কোন সময় তাদের ধরে নিয়ে যায়,আবার কোন সময় টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে যায়, যদিও রাস্তাটি ছিলো তাদের একমাত্র বানিজ্যিক মাধ্যম,তাই কষ্টের বিনিময়ে তারা তাদের কৃষি পন্য আদান প্রদান ও নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে চলাচল করতো।সেখানে ছিলোনা কোন উন্নত রাস্তাঘাট, ছিলোনা কোন বাজার দোকানপাট, ছিলোনা গাড়ি,যোগাযোগ ব্যবস্থাছিলোনা। একদম অবহেলিত,পায়ে হেটে এক যোগ পার করার পরে কোন রকম কক্রিটের উপর দিয়ে পার করেচে দীর্গ বছর, যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকেরা তাদের পণ্যের ন্যায্যমুল্য পেতোনা। এক মাত্র তারাই জানে বনজঙ্গলের ঘেরা পাহাড়ি বসবাস কিযে কষ্ট ছিলো তাদের। চিলোনা কোন চিকিৎসালয়,স্কুল-মাদ্রাসা,ছিলোনা কোন তেমন ব্যবসা প্রতিষ্টান, সব কিছুর মূলেই এক মাত্র উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার কারনে।
গেলো বিগত সরকারের আমলে কয়েক দফা আবেদন জানালেও তারা রাজনীতির প্রতিহিংসাকে পুজি করে এক তর্পা দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিযোগিতার কারনে তাদের দ্বারা কোন উন্নয়ন যেমন রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ, হাসপাতাল করা সম্ভব হয়নি। টানা তৃতীয় মেয়াদে বর্তমান সরকার সারা দেশের প্রতিটি জায়গায়র আনাচে কানাচে, পথ, ঘাট, অলিগলি, পর্যন্ত দেশের স্বার্থে সাধারন মানুষের যোগাযোগের জন্য করে যাচ্ছে। বিশাল উন্নয়নে দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে, যা বিগত সরকারের দ্বারা কোন দিন সম্ভব হয়নি।আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের
ধারাবাহিকতায়,কক্সবার- বান্দরবানের অন্তর্গত অবহেলিত পাহাড়ি জায়গার চেহারা যেমন ঈদগড় বাইশারী সড়কটি গত দশ বছর আগে কেউ চিনতে পারে নাই,মনে হয় বর্ষার ফসলের মাঠ। বর্তমান সরকার ২০১৮ সালে এসে সেই সড়কের চেহারা পাল্টে দিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করলো অবহেলিত মানুষের। ২০২০ সালেএসে সড়কটি দৃষ্টি নন্দন রাস্তা হিসাবে উপহার দিল অবহেলিত জনগনের মাঝে।আজ সেই রাস্তায় চলাচলরত হাজার হাজার অসহায় মানুষের মুখে হাসি,তারা এমন রাস্তা পেয়ে সরকার কে ধন্যবাদ জানান।
তরা আরো জানান,দেশকে আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে নিতে এমন সরকার প্রত্যাশা করেন।