• শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০১:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি কক্সবাজার জেলা শাখার ইফতার মাহফিল ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্নযুগ্ম সচিব হলেন কক্সবাজারের ডিসি মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনঢাকা থেকেই বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যু করবে অস্ট্রেলিয়াহাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণএপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন বেগম খালেদা জিয়ারাজনৈতিক হয়রানিমূলক ৬ হাজার ২০২টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশকারাহাসপাতাল এখন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অবকাশ কেন্দ্র, ক্যান্টিনে গলাকাটা বানিজ্যচট্টগ্রামের ভাষায় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে উচ্ছ্বসিত রোহিঙ্গারা ঘরে ফেরার স্বপ্নে বিভোরপ্রানঢাল অভিনন্দন ও শুভেচ্ছাপেকুয়ায় ব্যবসায়ীকে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ঈদে ‘কঠোর বিধিনিষেধে’ শিথিলতা আসতে পারে : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

কক্সবাজার বানী ডেস্ক:
আপডেট : রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় আগামী ঈদুল আজহার সময়ও বিধিনিষেধ বহাল থাকতে পারে। তবে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়লেও কোরবানির পশু কেনাবেচা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের জন্য কিছুটা শিথিল করা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।

একই সঙ্গে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচল, শপিংমল ও দোকান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে। তবে সবকিছু চূড়ান্ত হবে আগামী মঙ্গলবার (১৩ জুলাই)।

আগামী ২১ জুলাই বুধবার দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

রবিবার (১১ জুলাই) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা যদি সংক্রমণ কমাতে চাই তবে এই প্রক্রিয়াটি (বিধিনিষেধ) আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে বিভিন্ন পর্যায়ে। আমাদের কোরবানির হাট আছে। এই দুটি বিষয় কীভাবে সমন্বয় করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাতে পারব, সেটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। আমরা হাঁটগুলোতে কতটা নিয়ন্ত্রিত উপায়ে করতে পারি সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে কেউ যাতে কর্মস্থল ত্যাগ না করেন সেই নির্দেশনা দেয়া হবে। ঈদের মধ্যে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ থাকবে। কারণ গত ঈদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। মানুষ বাড়ি যাওয়ায় গ্রামে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রাম এখন আর নিরাপদ নয়।’

অনেকগুলো বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে সরকার কাজ করছে জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য যেমন করেই হোক করোনা নিয়ন্ত্রণ করা।’

‘হাঁটে কেউ আসলে যাতে একা আসা যায়, হাটে যাতে বেশি-সংখ্যক মানুষ না আসে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মানুষ যাতে দ্রুত হাট থেকে বেরিয়ে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থাও থাকবে।’

এবারের ঈদকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে অনেক ধরনের পরামর্শই আছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমরা মিটিং করবো। কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটির পরামর্শ নেব।’

 

করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিধিনিষেধের বিষয়ে পরবর্তী প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান ফরহাদ হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এবার ৭৫ শতাংশ পশু ডিজিটালি বিক্রির চেষ্টা করা হবে। ওয়েবসাইটগুলো সক্রিয় করা হচ্ছে। এর সঙ্গে ফিজিক্যাল হাট তো থাকতেই হবে। কারণ সমাজের সব ধরনের মানুষের তো আর ডিজিটাল অ্যাকসেস নেই। আমরা চাচ্ছি দরকষাকষিটা যাতে কম হয়, সেই ব্যবস্থা করতে। মানুষ যাতে ঝটপট গরু কিনতে পারে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও সাত দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ২১টি শর্ত দেয়া হয়। শর্ত অনুযায়ী, এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসররকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল দোকানপাট বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা। জনসমাগম হয় এমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না এই সময়ে।

সর্বশেষ রবিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২৩০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১১ হাজার ৮৭৪ জন।

 


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন