• রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবর
ফরিদুল মোস্তফার ৬ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই বিএমএসএফভুলন্ঠিত মানবতা বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে ৬ বছরেরও প্রত্যাহার হয়নি নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুলের ৬ মিথ্যা মামলা, পুলিশী ষড়যন্ত্রে আটকে আছে পাসপোর্টআমার বিরুদ্ধে করা নিউজ শত্রুদের সিন্ডিকেট প্রচারণা-প্রতিবাদ- ব্যাখ্যায় মনিরআওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধবিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধডিএইচ কে-কেএনএইচ-বিএমজেট প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর এসাইনমেন্ট অফিসারউখিয়া ও টেকনাফের গহীন পাহাড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান: বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারইয়ুথ চেইঞ্জ এজেন্টদের অংশগ্রহণে নাগরিক সাংবাদিকতা ও প্রচারণা প্রশিক্ষণ সম্পন্নউখিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশপ্রেমের ফাঁদে ফেলে আপত্তিকর দৃশ্য ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করেন জায়ান বাবু

৮ মাস ধরে নিখোঁজ রেমিটেন্সযোদ্ধা হাবিব উল্লাহ, স্বজনদের আহাজারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১

৮ মাস ধরে নিখোঁজ রেমিটেন্সযোদ্ধা হাবিব উল্লাহ, স্বজনদের আহাজারি

ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

দীর্ঘ ৮ মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে হাবিব উল্লাহ (২৫) নামের কক্সবাজার পৌরশহরের একজন রেমিটেন্সযোদ্ধা। বিয়ের মাত্র দুই মাসের মাথায় স্বামীর এমন দুর্ঘটনায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রয়েছে স্ত্রী রিপা মনি। মা-বাবাসহ স্বজনেরা পাগলপ্রায়। তারা যে কোন কিছুর বিনিময়ে হাবিব উল্লাহকে ফিরে পেতে চায়। এ জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

ভিকটিম হাবিব উল্লাহ কক্সবাজার পৌরশহরের বদর মোকাম এলাকার বাসিন্দা হাজি আবদুল হকের ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে সৌদিআরব থাকেন। সেখানে তার পিতার রেখে আসা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠান হাবিব উল্লাহ পরিচালনা করে আসছিলেন। বিয়ে করে ২০ দিনের মাথায় আবারো সৌদি আরব চলে যান। পরে ৬ মাসের ছুটিতে ২১ অক্টোবর আবার দেশে আসেন। দেশে ফেরার মাত্র ১০ দিনের মাথায় নিখোঁজ হন হাবিব উল্লাহ।

হাবিব উল্লাহর স্ত্রী রিপা মনি বলেন, আমার হাতের মেহেদির দাগ না শুকাতেই স্বামীর এমন দুর্ঘটনা মেনে নিতে পারছি না। কেন এমন ঘটনা? চোখেমুখে অন্ধকার দেখছি। মাথায় আসমান ভেঙে পড়ার অবস্থা। আমার একটি রাত যেন হাজার বছর। জীবিত, মৃত যেভাবেই হোক আমার স্বামীকে চাই।

ঘটনার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিতা হাজি আবদুল হক বলেন, ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর সকালে হাবিব উল্লাহর ব্যবহারের নাম্বারে (০১৮৩৯৯৬৫৮০৩) ফোন করে জরুরি কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় চট্টগ্রাম কর্ণফুলি থানার ঈসা নগরের বাসিন্দা নাসরিন আক্তার। পূর্ব পরিচিত বিধায় হাবিব উল্লাহ কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যান। কিন্তু ৮ মাসেও আর বাড়ি ফিরেনি। কেন ডাকলেন; কি ঘটনার শিকার, তা এখনো অজানা।

তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে সম্ভাব্য সব স্থান খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি। নববিবাহিতা হাবিব উল্লাহর স্ত্রী, মা-বাবাসহ স্বজনেরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে।

তবে, অভিযুক্ত নাসরিন আক্তারের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি হাবিব উল্লাহকে ডেকেছিলাম। এসেছিলেন। দেখা করে চলে গেছেন।

ভিকটিম হাবিব উল্লাহর পিতা হাজি আবদুল হকের ধারণা, ঘটনার সঙ্গে নাসরিন আক্তার সরাসরি সম্পৃক্ত। কারণ, তার বাড়িতে গিয়েই আর ফিরে নি। হয়তো কোন অপহরণকারীচক্রের সাথে তার হাত থাকতে পারে। বোঝাপড়ায় হাবিব উল্লাহকে অপরাধীদের হাতে তুলে দিয়েছে। নাসরিন আক্তারের ব্যবহারের ০১৮৮১৫৬২৪৯, ০১৭১৮১৭৩৯৫৭, ০১৩০৬৭৪১৭৮১ মোবাইল নাম্বারের কললিস্ট বের করলে আসল রহস্য উদঘাটন হবে মনে করেন ভিকটিম হাবিব উল্লাহর পিতা হাজি আবদুল হক।

তিনি বলেন, হাবিব উল্লাহর নামে দেশের কোন থানায় মামলা, অভিযোগ, কিংবা সাধারণ ডায়েরিও নেই। হঠাৎ এমন ঘটনায় পাড়াপড়শিরাও হিসেব মেলাতে পারছে না।

এদিকে, দেশের কোথাও লাশের খবর পেলে, সেটি হাবিব উল্লাহ ভেবে ছুটে যান মা-বাবা ও স্বজনেরা। দুশ্চিন্তায় ঘুম হয় না পরিবারের। নববধুর সংসারে চলছে শোকের বিরহ। এমতাবস্থায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত একটি পরিবারের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ প্রধান, র‍্যাব প্রধানসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন হাজি আবদুল হক।


আরো বিভন্ন নিউজ দেখুন