কক্সবাজার রামু উপজেলা কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ কম্পিউটার অপারেটর ছোটন ও চৌকিদার ফোরকানের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৩০ই জানুয়ারি) ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে দেখতে পায় এমন চিত্র। ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা বলেন চৌকিদার ফোরকান ও কম্পিউটার অপারেটর ছোটন একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে মানুষ কে হয়রানি ও জিম্মি করে আসচে দীর্ঘদিন ধরে।
যার সত্যতা মিলে প্রতিবেদকের কাছে।
অনুসন্ধানে যানাযায়, দীর্ঘদিন যাবত কাউয়াখোপ ইউনিয়ন পরিষদের এমন অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখে ও নিশ্চুপ ছিলেন চেয়ারম্যান।
উপস্থিতি জনতার মুখামুখি প্রতিবেদক চেয়ারম্যানকে এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং অস্বীকার করে বলেন,এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, আমি এর কিছুই জানিনা।
তবে ভুক্তভোগীরা বলছেন, কম্পিউটারের অপারেটর ইয়াহিয়া খালেদ (প্রকাশ) ছোটন চেয়ারম্যানের কাছের মানুষ হওয়ায় এমন অনিয়ম দুর্নীতি করে যাচ্ছে এবং মানুষকে হয়রানি করে যাচ্ছে।চেয়ারম্যান এইসব জেনেও না জানার ভান ধরে আছে।
এই বিষয়ে প্রতিবেদক ইয়াহিয়া খালেদ (প্রকাশ) ছোটনের মুখামুখি হলে তিনি কোনো কথা না বলে অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়।এরপরেও তার ব্যবহৃত নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে কল রিসিভ না করায় তার উপর অর্পিত অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চৌকিদার ফোরকানের মোটুফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,ভোটার হালনাগাদ করে দেওয়ার মতো আমাদের কিছুই নেই।আমরা আইন-শৃঙ্খলাতে দায়িত্ব।চৌকিদারের স্বাক্ষরে ১০০টাকা করে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,এমন কিউ প্রমাণ করতে পারলে চাকরি সহ ছেড়ে দেব।
এদিকে চৌকিদারের দারা ভুক্তভোগীরা বলছেন ভিন্ন কথা।তারা বলেন,চৌকিদার ফাইল নিয়ে গিয়ে চেয়ারম্যানের সাক্ষর নিয়ে ছোটন কে বাড়তি টাকার বিনিময়ে দেয়।বাড়তি টাকা দিলে মিলে ফাইল না হয় জমা রেখে দেয়, ১০-২০ দিনে ও মিলে না প্রত্যায়ন।
এই বিষয়ে কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সচিব (অতিরিক্ত) মফিজুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি সাপ্তাহিক দুইদিন অফিস , আমার কাজ শুধু জন্ম নিবন্ধন, প্রত্যায়ন থেকে শুরু করে বাকি সব কাজ চেয়ারম্যান যে লোক দিয়েছে ইয়াহিয়া খালেদ প্রকাশ ছোটন সে করে। তবে অনিয়ম এবং বাড়তি টাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি আরো জানান আমি এই সব কিছুই জানি না, সাপ্তাহিক দুইদিন অফিস করি বাকি দিন গুলা খুনিয়াপালং অফিস করি। চেয়ারম্যান যাদের দায়িত্ব দিয়েছেন ছোটন, এবং গ্রাম পুলিশ ফোরকান ও মান্নান তারা দায়িত্ব গুলো পালন করে।